রবিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ২৫ অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :
রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে জেলহত্যা দিবস পালন করা হয়। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে বোর্ড চত্বরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৮ টায় কাদিরগঞ্জস্থ শহিদ এএইচএম কামারুজ্জামান এঁর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়া করা হয়।
সকাল ৮:৩০ টায় শিক্ষা বোর্ড চত্বরে চেয়ারম্যান (দায়িত্বপ্রাপ্ত) ও সচিব মো. হুমায়ূন কবীর সকল স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দকে সঙ্গে নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর মুজিব শতবর্ষ স্মারক ম্যুরালে এবং জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং ১ মিনিট নীরবতা পালন করে সকল শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
সকাল ৮:৪৫ মিনিটে শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান (দায়িত্বপ্রাপ্ত) ও সচিব মো. হুমায়ূন কবীরের সভাপতিত্বে মুজিব শতবর্ষ স্মারক ম্যুরাল চত্বরে জেলহত্যা দিবসের উপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন, শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. আরিফুল ইসলাম, কলেজ পরিদর্শক মো. এনামুল হক ও বিদ্যালয় পরিদর্শক মহা. জিয়াউল হক। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন প্রধান মূল্যায়ন কর্মকর্তা এস.এম. গোলাম আজম।
সভার সভাপতি চেয়ারম্যান (দায়িত্বপ্রাপ্ত) ও সচিব মো. হুমায়ূন কবীর তাঁর বক্তব্যে কলঙ্কজনক জেল হত্যাকাণ্ডে শাহাদতবরণকারী জাতীয় নেতাদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় তিনি বলেন, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার পাশাপাশি জাতিকে নেতৃত্বহীন করার লক্ষ্যে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার ধারাবাহিকতায় স্বাধীনতা বিরোধী চক্র জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে।
জেলখানা সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা হওয়া সত্ত্বেও জাতীয় চার নেতাকে জেলখানায় হত্যার ঘটনা জাতির জন্য একটি কলঙ্কজনক অধ্যায়। তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রত্যেকের মধ্যে দেশপ্রেম থাকতে হবে। দেশকে ভালোবেসে নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিক ও সুষ্ঠুভাবে পালন করতে হবে।
জাতীয় চার নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বাদ আসর শিক্ষা বোর্ড জামে মসজিদে দোয়া মাহ্ফিল অনুষ্ঠিত হয়।