রাজশাহী সদর হাসপাতাল সচল করা হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

আপডেট: মার্চ ১১, ২০২৪, ৯:২৬ অপরাহ্ণ


নিজস্ব প্রতিবেদক:স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা.সামন্ত লাল সেন জানিয়েছেন, রাজশাহীতে একটি জেলা হাসপাতাল আছে, সেটা খালি পড়ে থাকে। আমরা চেষ্টা করবÑএটাকে সচল করার। তাহলে হয়তো-বা কিছুটা হলেও এই হাসপাতালের ওপর চাপ কমবে। এ সময় হাসপাতালগুলোতে জনবলের ঘাটতি রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনবলের ঘাটতি নিয়েও আমরা কাজ করছি। তবে খুব তাড়াতাড়ি জনবল সংকটের সমাধান হবে বলে তিনি আশা করেন।

এছাড়াও রাজশাহী মেডিকেল কলেজে একটিসহ সারাদেশে মোট ৫টি বার্ন ইউনিট চালু করা হবে বলে জানান তিনি। এ ইউনিটগুলো চালু হলে জনগণের বেশ উপকার হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সোমবার (১১ মার্চ) সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সভাকক্ষে রাজশাহী মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ের (রামেবি) ভাইস চ্যান্সেলর, রাজশাহী, নওগাঁ, বগুড়া, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ মেডিকেল কলেজের পরিচালক, অধ্যক্ষ ও বিভাগীয় প্রধানগণের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী এ তথ্য জানান।

এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন ইউনিট ঘুরে দেখেন। হাসপাতালটি অন্যান্য মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চেয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন মন্তব্য করে তিনি সাংবাদিকদের কাছে সন্তোষ প্রকাশ করেন। অন্যান্য মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মতো রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও সেবা নিতে আসা রোগীদেরকে ফ্লোরে থেকে সেবা নিতে হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ সমস্যা একবারে সমাধান করা সম্ভব না। যতক্ষণ না আমরা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দিতে পারছি, ততক্ষণ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ কমবে না। তবে আমরা দেশের চিকিৎসাসেবা শতভাগ উন্নত করতে না পারলেও কিছুটা উন্নত করার চেষ্টা করছি।

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ‘চিকিৎসকের ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও অনেক চিকিৎসককে ও.এস.ডি করে রাখা হয়েছে, এ বিষয়ে সরকারের পদক্ষেপ কী?’ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খুব তাড়াতাড়ি সমাধান হবে, আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কোনো হাসপাতাল তাদের পূর্ব শর্ত মানা ছাড়া কোনোভাবে চালাতে পারবে না। কারণ একটা অপারেশন করতে গেলে যা যা দরকারÑ একটা হার্টের রোগীকে অপারেশন করতে গেলে যেমন ডেথ সাপোর্ট দরকার। এইটা ছাড়া কোনো দিনই কোনো হাসপাতালকে অনুমোদন দেয়া হবে না। সেখানে কোনো অপারেশন করতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটলে এর দায়-দায়িত্ব ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট চিকিৎসককে নিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, মেডিকেল কলেজে শুধু চিকিৎসাসেবা দেয় না; এখানে শিক্ষা, চিকিৎসা, গবেষণা সবাই হয়। সুতরাং আমরা জেলার হাসপাতালগুলোর উন্নয়ন করবো। রাজশাহীতে একটি সদর হাসপাতাল আছে। এটি অত্যন্ত সুন্দর, কিন্তু খালি পড়ে আছে। এই হাসপাতালটি সচল করা হবে। তাহলে এই মেডিকেল কলেজগুলোতে রোগির চাপ কমবে। আশা করি, আমরা এগুলো সমাধান করতে পারব। কিছু জনবলের ঘাটতি আছে। সেগুলোও দেখা হবে।

এর আগে মতবিনিময় সভায় রামেবি’র ভাইস চ্যান্সেলর, রাজশাহী, নওগাঁ, বগুড়া, পাবনা ও সিরাজগঞ্জ মেডিকেল কলেজের পরিচালক, অধ্যক্ষ ও বিভাগীয় প্রধানগণনিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের নানা সমস্যা তুলে ধরেন। মন্ত্রী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিদ্যমান সমস্যাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনেন এবং তা পর্যায়ক্রমে সমাধানের আশ^াস দেন।

মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আজ নতুন একটি আইসিইউ খোলা হলো। এই হাসপাতালের বর্হিবিভাগে প্রতিদিন গড়ে মোট ৪,৪৭৫ জন রোগী চিকিৎসা নেয়। প্রতিদিন গড়ে অপারেশন করা হয় ১৩৮ জন রোগীর।

এছাড়া মতবিনিময় সভায় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী রোকেয়া সুলতানা, সংসদ সদস্য ও রাজশাহী বিভাগের স্বাস্থ্য পরিচালক এবং স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিত স্বাস্থ্যবিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।