রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র লিটনের মেয়াদকাল পর্যালোচনা

আপডেট: আগস্ট ১৯, ২০১৭, ১২:৪৮ পূর্বাহ্ণ

সরিফুল ইসলাম বাবু


১৯৬২ সালে গণপুর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে উপশহরে হাউজিং কর্তৃক প্লট বিতরণ করা হয়। শুরু হয় বাড়ি নির্মাণ। কিন্তুু রাস্তা আর ড্রেনের বেহাল অবস্থা, কয়েক যুগ পর ২০০৯ সালে মানুষের সীমাহীন দুর্ভোগের অবসান শুরু হয় মানসম্মত রাস্তা ও ড্রেনের কাজ শুরু মাধ্যমে। উপশহর নিউমার্কেটের সামনে ডিভাইডারসহ চার-লেন রাস্তা ও ফুটপাত নির্মাণ ছিলো পরিকল্পনার অংশ যা পরে বাস্তবায়ন হয়েছে। ১৯৭৯ সালে আরডিএ কর্তৃক ভদ্রা আবাসিক এলাকায় প্লট বরাদ্দ হওয়ার পর বসতবাড়ি নির্মাণ শুরু হয়Ñ কিন্তুু রাস্তা ও ড্রেনের বেহাল অবস্থাছিল। এখানেও ২০০৯ সালের পর শুরু হয় পরিকল্পিত মানসম্মত রাস্তা ও ড্রেনের কাজ। লাগানো হয় প্রচুর গাছ। তৈরি হয় বাসযোগ্য পরিবেশ। দূর হয় মানুষের দুর্ভোগ।
রাজশাহীর পদ্মাপাড় মহানগরবাসীর নির্মল পরিবেশে মুক্ত বাতাস গ্রহণ ও বিনোদনের অন্যতম প্রিয় স্থান। কিন্তুু ছিলো না কোন পরিবেশ। সন্ধ্যার পর অন্ধকার-ভুতুড়ে পরিবেশ,গাঁজাখোর, ফেনসিডিল খোর, স্মাগলার ও ছিনতাইকারীদের অভয়অরোণ্য ছিলো। শুরু হয় পদ্মার পাড় পরিস্কার অভিযান, তৈরি করা হয় পাঠানপাড়া, দরগাপাড়া, বড়কুঠিপাড়া, কুমারপাড়া পর্যন্ত কয়েক কিলোমিটার ওয়াকওয়ে। পাঠানপাড়ায় সুদৃশ্য মুক্তমঞ্চ, রেস্টুরেন্ট, বসার জন্য পাকা ছাউনি, বড়কুঠিপাড়ায় মুক্তমঞ্চ, বসার জন্য পাকা ছাউনি, কুমারপাড়ায় মুক্তমঞ্চ, কয়েকটি ফাস্টফুডের দোকান, বড়কুঠিপাড়া ও কুমারপাড়ায় দুইটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়।
আলুপট্টিতেও পদ্মার পাড় সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী গাছ লাগানো হয়, স্থাপন করা হয় গার্ডেন লাইট। রঙিন লাইট ও উজ্জ্বল আলোর সাদা লাইট। ফলে পদ্মার পাড়ে মানুষ অনেক রাত হলেও নিরাপদে ঘুরতে পারে। তালাইমারী পদ্মার পাড়ে শহিদ মিনার সংলগ্ন খেলার মাঠ তৈরি করা হয়। ২৮ নং ওয়ার্ড ফুলতলা পদ্মা পাড়ে অনুরূপ পরিকল্পনা ছিলো যা বাস্তবায়ন হয়নি।
বড়কুঠিপাড়ার পদ্মার পাড়ে ২০১২ সালে ১৩ অক্টোবর সর্বসাধারণের জন্য ফ্রি ওয়াইফাই চালু করা হয়। ফলে ছাত্র, যুবক তরুণরা উপকৃত হয়। উল্লেখ্য বাংলাদেশে প্রথম এ উদ্যোগ প্রশংশিত হয়।
যে লক্ষ্য নিয়ে পদ্মার পাড়ে কাজ শুরু করা হয়, অতি অল্প সময়ে, সে লক্ষ্য অর্জিত হয়। দেশে বিদেশে কাজগুলি প্রশংসিত হয়। গার্ডিয়ান পত্রিকায় রাজশাহীর উচ্চ প্রশংসা করা হয় সেখানে বড়কুঠির পদ্মাপাড়ের ছবি ছাপানো হয়।
লেখক : সাবেক প্যানেল মেয়র-১,রাসিক।