‘রাজাগিরি চলবে না’! জোরালো হচ্ছে ট্রাম্প-বিরোধী আন্দোলন

আপডেট: জুন ১৫, ২০২৫, ৮:৩৪ অপরাহ্ণ

সোনার দেশ ডেস্ক:


আমেরিকায় জোরালো হচ্ছে ট্রাম্প-বিরোধী আন্দোলন। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে লস অ্যাঞ্জেলেসে যে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ আছড়ে পড়েছিল, তা এখন ধীরে ধীরে গোটা মার্কিন মুলুকে ছ়ড়িয়ে প়ড়েছে। আয়োজকদের দাবি, ট্রাম্পের ‘স্বৈরাচারী নীতি’র বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছেন লাখ লাখ মানুষ। সেই কারণেই আন্দোলনের নাম ‘নো কিংস’। অর্থাৎ, রাজা চাই না! তাঁদের কারও হাতে থাকা পোস্টারে লেখা ‘গদি ছাড়ো’, আবার কোনও পোস্টারে লেখা, ‘সংবিধান বাঁচান’।

অবৈধ অভিবাসীদের নির্বিচার গ্রেফতারির প্রতিবাদে গত সাত দিন ধরে ক্ষোভে ফুটছে লস অ্যাঞ্জেলেস-সহ আমেরিকার বিভিন্ন শহর। পরিস্থিতি সামলাতে বিক্ষোভের কেন্দ্রস্থল লস অ্যাঞ্জেলেসে ৪০০০ সেনা (ন্যাশনাল গার্ড) এবং ৭০০ মেরিন নামিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। গ্রেফতার করা না হলেও গোলমাল ছড়ানোর অভিযোগে ব্যাপক ধরপাকড় ও আটক অভিযান চলছে। এ নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। দাবি, ইরাক কিংবা সিরিয়ার যে সংখ্যক সেনা পাঠানো হয়েছিল, তার থেকেও বেশি সেনা নামানো হয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেসে। ইরাকে ও সিরিয়ায় যথাক্রমে ২৫০০ এবং ১৫০০ সেনা পাঠানো হয়েছিল।
এর বিরুদ্ধে দেশের অন্তত ২১০০ শহরে রাস্তায় নেমেছিলেন সাধারণ মানুষ। অন্তত ১০০-রও বেশি সংগঠন এক ছাতার তলায় এসে এই বিক্ষোভ-কর্মসূচির আয়োজন করেছিল।

শনিবার ছিল ট্রাম্পের জন্মদিন। ছিল আমেরিকান সেনার ২৫০তম বর্ষপূর্তিও। সেই উপলক্ষে ওয়াশিংটনে খাস হোয়াইট হাউসের পিছনে কনস্টিটিউশন অ্যাভিনিউয়ে প্রায় ৬,৬০০ সেনা, আব্রামস ট্যাঙ্ক, ব্র্যাডলে সাঁজোয়া গাড়ি ও একটি ব্ল্যাক হক হেলিকপ্টার নিয়ে প্রদর্শনী হয়। সেই সময় ওয়াশিংটনের লোগান সার্কলেও অন্তত ২০০ জন মানুষ জড়ো হয়ে ট্রাম্প-বিরোধী স্লোগান তোলেন।

নিউ ইয়র্ক, শিকাগো, সিয়াটেল, ডেনভার, সান ফ্রান্সিসকো, আটলান্টা-সহ আমেরিকার অন্যান্য বড় শহরেও অভিবাসন এবং ট্রাম্প প্রশাসনের দমননীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে।
ক্যালিফর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে গত কয়েক দিন ধরে বিক্ষোভ চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শহরে নামানো হয়েছিল ন্যাশনাল গার্ড। আমেরিকার নৌসেনার মেরিনবাহিনীকেও মোতায়েন করা হয়েছিল।
তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ