রাজীব গান্ধী হত্যা আগেই টের পায় সিআইএ

আপডেট: জানুয়ারি ৩০, ২০১৭, ১২:০৩ পূর্বাহ্ণ

সোনার দেশ ডেস্ক



রাজীব গান্ধী হত্যার সম্ভাবনা আগেই টের পেয়েছিল আমেরিকা। তাঁেক হত্যা করা হলে ভারতের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কী হতে পারে সে নিয়ে ১৯৮৯৬ সালেই রিপোর্ট তৈরি করে রেখেছিল মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা। সিআইএ প্রকাশিত গোপন নথিপত্রে নয়া তথ্য। বলা হয়েছে, ‘১৯৮৪ সালের ৩১ অক্টোবর ইন্দিরা গান্ধী খুন হওয়ার পরই গোপনে তথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করেন মার্কিন গোয়েন্দারা। ১৯৮৬ সালের জানুয়ারি মাসে সেই সব তথ্য হাতে পেয়ে ২৩ পাতার একটি রিপোর্ট তৈরি করে সিআইএ। তাতে বলা হয়, মা ইন্দিরা গান্ধীর মতো রাজীব গান্ধীকেও খুন করা হতে পারে। ১৯৮৯–এর শেষের দিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেয়াদ শেষ হলেই তাঁর ওপর হামলা হতে পারে। কাশ্মীরি বা শিখ উগ্রপন্থীদের হাতে নিহত হলে দেশ জুড়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধার সম্ভাবনা রয়েছে। তখন সমগ্র উত্তর ভারতে সেনা ও আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করেও পরিস্থিতি সামাল দিতে পারবেন না দেশের রাষ্ট্রপতি।’ প্রধানমন্ত্রী থাকাকাঈলন কিছু হলে রাজীব গান্ধীর উত্তরসূরি হিসেবে পিভি নরসিংহ রাও এবং ভিপি সিং ক্ষমতায় আসতে পারেন বলেও আগাম আভাস দিয়েছিলেন মার্কিন গোয়েন্দারা। এছাড়া, রাজীব গান্ধীর মৃত্যুর পর ভারতের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোন দিকে এগোতে পারে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সোভিয়েত রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক কোন দিকে গড়াতে পারে, তা নিয়েও রিপোর্টে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। সিআইএর রিপোর্ট তৈরি হওয়ার পাঁচ বছর পর, ১৯৯১ সালের ২১ মে তামিলনাড়ুর শ্রীপেরামবুদুরে আত্মঘাতী হামলায় মৃত্যু হয় রাজীব গান্ধীর। সিআইএ–র রিপোর্টের কিছু অংশ মুছে দেওয়াতে হামলায় হামলায় এলটিটি–র হাত থাকার আভাস দেওয়া হয়েছিল কিনা তা জানা যায়নি। তবে এলটিটির সঙ্গে শ্রীলঙ্কা সরকারের ঝামেলা মেটাতে রাজীব গান্ধীর মধ্যস্থতার কথা উল্লেখ রয়েছে তাতে। ১৯৯১ সালে নির্বাচন চলাকালীন রাজীব গান্ধী খুন হওয়ার পর বিপুল ভোটে জয়ী হয় কংগ্রেস।  প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় আসেন পিভি নরসিংহ রাও।  – আজকাল