রাণীনগরের আশ্রয়ণ পল্লীর চলাচলের রাস্তার বেহাল দশা

আপডেট: জুলাই ২৫, ২০২৪, ২:১৪ অপরাহ্ণ


আব্দুর রউফ রিপন, নওগাঁ প্রতিনিধি:


নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার বৃহত্তম আশ্রয়ণ প্রকল্প হচ্ছে ডাকাহার আশ্রয়ণ প্রকল্প। মুজিবশতবর্ষ উপলক্ষে উপজেলার ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ডাকাহার চৌধুরীপুকুর পাড়ে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় ২০২০ সালে ১ম পর্যায়ে ৫৯টি ঘর নির্মাণ করা হয়।

দ্রুত ঘরগুলো নির্মাণ করার কারণে উপজেলার আশ্রয়ণ প্রকল্পের অধিকাংশ ঘরগুলোতে দেখা দেয় ফাটল। পরবর্তিতে সংবাদ প্রকাশের পর সেই ঝুঁকিপূর্ণ ঘরগুলো দায়সারা ভাবে মেরামত করে দেওয়া হয় আবার অধিক ঝুঁকিপূর্ণ দুটি ঘর ভেঙ্গে নতুন করে নির্মাণ করে দেওয়া হয়। এছাড়া চলাচলের রাস্তাগুলোর দশা খুবই বেহাল হওয়ার কারণে প্রতিনিয়তই চলাচল করার জন্য বাসিন্দাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

প্রকল্পের বাসিন্দারা মুসলমান হওয়ার কারণে ওই পল্লীতে নির্মাণ করা হয়েছে একটি মসজিদ। কিন্তু চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি মাটির হওয়ার কারণে শুষ্ক মৌসুমে কোনমতে চলাচল করা গেলেও বর্ষা মৌসুমে হাটু কাঁদার মধ্যে বাসিন্দাদের চরম কষ্টে চলাচল করতে হয়। পল্লীর বাসিন্দার অনেকেই ভ্যান চালক হওয়ার কারণে দিনশেষে ভ্যান নিয়ে এই কাঁদার রাস্তা দিয়ে পল্লীতে আসতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

তাই দ্রুত রাস্তাটির উপর ইট বিছিয়ে দিয়ে যাতায়াতের জন্য পথটি ভালো করার প্রতি সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন পল্লীর বাসিন্দারা। শুধু ডাকাহার আশ্রয়ণ পল্লীই নয় উপজেলার অন্যান্য আশ্রয়ণ পল্লীর অভ্যন্তরীণ চলাচলের রাস্তাগুলোরও একই অবস্থা।

পল্লীর বাসিন্দা মামুন খন্দকার বলেন প্রধানমন্ত্রীর উপহার পেয়ে আমরা গৃহহীনরা কৃতজ্ঞ। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি এই উপহারের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শেষ করতে পারবো না। কিন্তু পল্লীর মধ্যে এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়িতে চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি মাটির হওয়ার কারণে বর্ষা মৌসুমে হাটু কাঁদায় পরিণত হয়। এই রাস্তাটি একটু ভোলো করে দিলে আমাদের মতো সুখি আর কেউ থাকবে না। তাই দ্রুত এই রাস্তাটিতে আধুনিকতার ছোঁয়া দিতে সংশ্লিষ্টদের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: মেহেদী হাসান মুঠোফোনে বলেন আশ্রয়ণ পল্লীর অভ্যন্তরীণ ও অন্যান্য রাস্তা নির্মাণের দায়িত্ব উপজেলা এলজিইডি দপ্তরের। বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলীকে জানানো হয়েছে। আমি আশাবাদি দ্রুতই পল্লীর সকল মাটির রাস্তাগুলোতে আধুনিকতার ছোঁয়া লাগবে।

উপজেলা প্রকৌশলী মো: ইসমাইল হোসেন বলেন ডাকাহার আশ্রয়ণ প্রকল্পসহ উপজেলার অন্যান্য আশ্রয়ণ প্রকল্পের সকল অভ্যন্তরীণ চলাচলের রাস্তাগুলোয় আধুনিকায়নের কাজের চাহিদাপত্র উপরমহলে পাঠানো হয়েছে। চাহিদাপত্র অনুমোদন শেষে অর্থ বরাদ্দ এলেই কোন রাস্তায় ইট বিছানো, কোন রাস্তা পাকাকরন আবার কোন রাস্তায় সিসি ঢালায় দেওয়ার কাজ শুরু করা হবে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ