রাণীনগরে আলুর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা ।। মাঠ জুড়ে সবুজের সমারোহ

আপডেট: ডিসেম্বর ২২, ২০১৬, ১২:০৫ পূর্বাহ্ণ

আবদুর রউফ রিপন, রাণীনগর



নওগাঁর রাণীনগরে চলতি রবি মৌসুমে আলুর বাম্পার ফলনের আশা করছেন এলাকার আলু চাষিরা। উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের মাঠে মাঠে এখন শুধু আলু গাছের সবুজ রং এর সমারোহ। সরকার পর্যায় থেকে কৃষকদের মাঝে কৃষি উপকরণসহ রাসায়নিক সার বিনামূল্যে বিতরণ করায় এই এলাকার কৃষকদের আগাম জাতের আলু লাগানো সম্ভব হয়েছে।
চলতি রবিশস্য মৌসুমে কোন প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকায় আলু চাষের অনুকূল পরিবেশ থাকায় পরিচর্যা, স্থানীয় কৃষি বিভাগের যথাযথ পরামর্শ ও আবহাওয়া ভালো থাকার কারণে এবং রোগবালাইমুক্ত হওয়ায় অন্য রবিশস্যের পাশাপাশি আলুর বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকরা। গ্রামীণ জনপদের প্রান্তিক কৃষকরা এবার ডায়মন্ড, লালপাকরী ও দেশি জাতের আলু রোপণ করেছেন। যথা সময়ে আলু ঘরে তুলতে পারলে এবং বাজারের চাহিদা ও দাম ভালো থাকলে আলু চাষে কৃষকদের আগ্রহ আরো বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কর্মকর্তারা।
জানা গেছে, চলতি রবিশস্য মৌসুমে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ৮শ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও এ বছর উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে আলুর আবাদ করা হয়েছে। তবে ঘনকুয়াশা আর হিমেল বাতাসের কারণে আলু চাষিরা কিছুটা আতঙ্কে রয়েছেন। আগামী ইরি-বোরো ধান উৎপাদনের প্রস্তুতি হিসেবে প্রান্তিক চাষিরা কিছুটা বাধ্য হয়েই অন্যের জমি বর্গা নিয়ে আলু, সরিষা, গম ও ভুট্টা চাষে অতি আগ্রহী হয়ে উঠছেন। উপজেলার সদর, বড়গাছা, মিরাট, কাশিমপুর, গোনা ও পারইল ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি আলু চাষ হয়েছে বলে কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে।
উপজেলার ঘোষগ্রাম ব্লকের নান্দাইবাড়ি গ্রামের কৃষক আবুল হোসেন জানান, আমি এ বছর ১ বিঘা জমিতে আলুর চাষ করেছি। কৃষি অফিসের পরামর্শক্রমে ভালো জাতের দেশি আলুর বীজ কিনে জমিতে রোপণ করেছি। এ পর্যন্ত আলু গাছের গঠন দেখে মনে হচ্ছে আশানুরুপ ফলন পাবো।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এসএম গোলাম সারওয়ার জানান, রাণীনগরে বিগত বছরের তুলনায় এবারও আশানুরুপ আলুর চাষ করা হয়েছে। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চাষিদের যথাযথ পরামর্শ ও পরিচর্যার বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে কোন ক্ষতি না হলে এবার রাণীনগর উপজেলায় আলুর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। শুধু তাই নয় আলু চাষের জমিগুলোতে কিছু পরিমান উদ্বৃত্ত সারের শক্তি থাকায় কৃষকরা ইরি-বোরো চাষেও এর সুফল পাবে।