রাণীনগরে ক্লিন ইমেজের প্রার্থী হিসেবে সাড়া ফেলেছেন গোলাম রাব্বানী

আপডেট: মে ১১, ২০২৪, ১২:৫০ অপরাহ্ণ


নওগাঁ প্রতিনিধি:


৮ মে প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মধ্যদিয়ে সারা দেশে শুরু হয়েছে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। সুন্দর, সুষ্ঠ, উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত করা এবং ভোটারদের ভোট কেন্দ্রমুখী করার লক্ষ্যে কয়েকটি ধাপে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই নির্বাচন।

এরাই ধারাবাহিকতায় নওগাঁর রাণীনগরেও বইতে শুরু করেছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের হাওয়া। আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে রাণীনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ইতিমধ্যই তিনটি পদে প্রতিদ্বন্দ্বীকারী চূড়ান্ত প্রার্থীরা দিন-রাত নির্বাচনী মাঠে সরব রয়েছেন।

প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতিক ছাড়া নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ায় সকল প্রতিদ্বন্দ্বীকারী প্রার্থীরা হচ্ছে সরকার দলীয় অনুসারী। আসন্ন নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে যে সকল প্রার্থীরা অংশগ্রহণ করছেন তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন গোলাম রাব্বানী। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান উচ্চ শিক্ষিত মো: গোলাম রাব্বানী ইতিমধ্যই নির্বাচনী মাঠে ক্লিন ইমেজের প্রার্থী হিসেবে সাড়া ফেলেছেন।

রাণীনগর উপজেলা শাখা আওয়ামীলীগের সদস্য মো: গোলাম রাব্বানী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার বিষয়ে বলেন বাংলা, বাঙালি ও বাংলাদেশের সকল সোনালী অর্জনের গৌরবান্বিত অংশীদার বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ। আওয়ামীলীগের একজন সক্রীয়কর্মী হয়ে জাতির পিতার আদর্শ মনে-প্রাণে ধারন করে দেশনেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নে অনুপ্রাণিত হয়ে গঠনমূলক অংশগ্রহনের মাধ্যমে একজন ক্ষুদ্র কর্মী হয়ে কাজ করে যাচ্ছি।

আগামী দিনের সুখী, সমৃদ্ধ, ডিজিটাল থেকে স্মার্ট, উন্নত আয়ের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় সব সময় বুকে ধারণ কর চলেছেন। আমার বাবা মরহুম বীর মুক্তিযোদ্ধা (তালিকাভুক্ত) আলহাজ্ব আজিজার রহমান বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ৭নং একডালা ইউনিয়ন শাখার সহ-সভাপতি ছিলেন।

এই রাজনীতি করতে গিয়ে ৫বার নির্বাচিত জনপ্রিয় একডালা ইউপি চেয়ারম্যান আমার বড় বাবা বীরমুক্তিযোদ্ধা আফজাল হোসেনকে ২০০৪সালে সর্বহারা নামক সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা দিনে-দুপুরে গলা কেটে নির্মমভাবে হত্যা করে।

আমার পরিবার ও আমি আওয়ামীলীগ করার কারণে অনেক নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে। ২০০৩সালে সর্বহারা নামক গলা কাটা সন্ত্রাসী দলের দৌরাত্ব বেড়ে গেলে আমি বিদেশে চলে যাই এবং ২০১৮সালে দেশে ফেরার পর থেকে আওয়ামীলীগের সাথে সার্বিক ভাবে রাজনৈতিক কার্যক্রম করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমি আমার বড় বাবা শহীদ মরহুম আফজাল হোসেনের মতো সেবক হয়ে উপজেলাবাসীর পাশে আজীবন থেকে সেবা করে যেতে চাই। একটি প্লাটফরমে দাঁড়িয়ে উপজেলার সুবিধাবঞ্চিত ও পিছিয়ে পড়া মানুষদের এগিয়ে নিতে কাজ করতে চাই। এক কথায় একটি সুস্থ্য রাজনীতির ধারা চালু করে উপজেলার সর্বক্ষেত্রে একটি আমূল পরিবর্তন আনতে চাই।

একজন শিক্ষিত, মার্জিত ও আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী মানুষের দ্বারাই সকল লোভ-লালসাকে দূরে রেখে সমাজের মানুষের জন্য কল্যাণে কাজ করা সম্ভব। মানবতার মা শেখ হাসিনার সকল উপহার, সুবিধা ও উন্নয়নের বার্তাগুলো উপজেলার প্রতিটি মানুষের দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে উপজেলাকে ডিজিটাল থেকে স্মার্ট উপজেলায় পরিণত করার মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের অংশিদার হতে চাই।

আর সেই মিশন ও ভিশনকে সফল করতেই মূলত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশগ্রহণ করা। উপজেলার সর্বস্তরের মানুষ আমাকে সাদরে গ্রহণ করেছেন। আমি শতভাগ আশাবাদি আগামী ২৯ মে ভোটাররা আমাকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করে উপজেলাবাসীর গলায় বিজয়ের মালা পড়িয়ে দিবেন।