রাণীনগরে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা, গ্রেফতার তিন

নওগাঁ প্রতিনিধি:

নওগাঁ-৬ (আত্রাই-রাণীনগর) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এবং ট্রাক প্রতীকের প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের সংঘটিত সংঘর্ষের পর থানায় দু’পক্ষের পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাণীনগর থানায় এই দু’টি মামলা দায়ের হয়।

স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে সমর্থক মো. সবুজ বাদি হয়ে নৌকা প্রার্থীর কর্মি আওয়ামী লীগ, যুবলীগ নেতাসহ এজাহারনামীয় ১৬জন ও অজ্ঞাতনামা ১০জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। ওইদিনই সন্ধ্যায় নৌকা প্রার্থীর পক্ষে আওয়ামী লীগ কর্মী মো. বাদল বাদি হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকসহ এজাহারনামীয় ১১জনকে ও অজ্ঞাতনামা ৪০ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।

রানীনগর থানা পুলিশ বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকের দায়ের করা মামলার আসামি কাশিমপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এনায়েতপুর গ্রামের এনায়েতুর রহমান সেন্টু (৫৮) এবং অজ্ঞাতনামা আসামি আ’লীগ কর্মী খট্টেশ^র পশ্চিমপাড়া গ্রামের রোস্তম আলী (৪৮) কে গ্রেফতার করেছে। এছাড়া নৌকা প্রার্থীর কর্মীর দায়ের করা মামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক কাশিমপুর গ্রামের আফেল উদ্দীন (৪৫) কে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত তিনজনকে বুধবার বিকেলে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

জানা গেছে, সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নির্বাচনি প্রচারণাকে কেন্দ্র করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আনোয়ার হোসেন হেলাল এমপি এবং ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ওমর ফারুক সুমনের কর্মিসমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এরপর সন্ধ্যা সাত টার দিকে উপজেলা সদরের বাসট্যান্ড এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটে।

এরপর রাত ৮টার দিকে আবারও রাজাপুর গ্রামে সংঘর্ষ হয়। ওইদিন সন্ধ্যা থেকে শুরু করে রাত ৮টা পর্যন্ত দফায় দফায় কয়েকস্থানে হামলা-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ৭ জন সমর্থক ও নৌকা প্রার্থীর ৩ জন নেতাকর্মী আহত হন।

থানার ওসি আবু ওবায়েদ বলেন, থানায় দু’পক্ষের মামলা হয়েছে। মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। মামলা অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে উপজেলায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কেউ কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।