রাণীনগরে বোরো ধান রোপণে ব্যস্ত কৃষক

আপডেট: জানুয়ারি ৪, ২০১৭, ১২:১৪ পূর্বাহ্ণ

রাণীনগর প্রতিনিধি



নওগাঁর রাণীনগরে চলতি বোরো মৌসুমে ধান রোপণে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন কৃষকরা। ইতোমধ্যে প্রায় ২শ হেক্টর জমিতে বোরো ধান রোপণ শেষ পর্যায়ে। দ্রুত গতিতে চাষিরা নিজ নিজ জমিতে আগে ধান লাগানোর জন্য প্রতিযেগিতামূলক ব্যস্ত সময় পার করছে উপজেলার কৃষকরা।
কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের মাঝে রবিশস্য চাষের জন্য রাসায়নিক সারসহ কৃষি উপকরণ বিতরণের ফলে যথাসময়ে রবিশস্য চাষের পরে এবার বোরো ধান চাষে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন তারা।
উপজেলা কৃষি আফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে প্রায় ১৬ হাজার হেক্টর চাষযোগ্য আবাদি জমিতে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি এই পরিমাণ জমিতে ধান রোপণের জন্য কৃষকরা প্রায় ৮২০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করেন। আবহাওয়া ভালো থাকার কারণে কোনো প্রকার রোগবালাই ছাড়া চারা ভালো হয়েছে। বোরো ধান চাষের অনুকূল পরিবেশ থাকায় কিছুটা বৈরি আবহাওয়া থাকলেও দিনের বেলায় তাপমাত্রার গতি বেশি থাকায় ধান রোপণের পরে ঠা-া, ঘন কুয়াশা জনিত কারণে চারাগুলোর তেমন কোনো ক্ষতি হবে না বলে স্থানীয় কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা মনে করেন।
কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে মাঠ পর্যায়ের কৃষকদের মাঝে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সঠিক সময়ে বোরো ধান লাগানো যথাযথভাবে পরিচর্যা, রাসায়নিক সার ও  কীটনাশক প্রয়োগের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে যে গতিতে কৃষকরা ধান রোপণ করছেন, তাতে খুব তাড়াতাড়ি বোরো চাষাবাদ শেষ হবে বলে কৃষকরা জানান।
উপজেলার মিরাট ইউপি’র হরিশপুর গ্রামের শাহরুখ হোসেন আহাদ, আবদুল হামিদ, আবুল হোসেন, আনছার ফারাজিসহ বেশ কয়েকজন কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বোরো ধান লাগানোর উপযোগী আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় তারা সুযোগ বুঝে জমিতে ধান লাগানো শুরু করেছে। গত বছর ধানের ফলন ভালো হলেও দাম কম থাকায় ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়েছে। জৈষ্ঠ্য মাসে বোরো ধান কাটার সময় সরকারের পক্ষ থেকে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করলে অবশ্যই আমরা কিছুটা লাভবান হবো।
এ বিষয়ে রাণীনগর উপজেলা কৃষি অফিসার এসএম গোলাম সারওয়ার জানান, চলতি বোরো মৌসুমে এই উপজেলায় প্রায় ১৬ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পরিমাণ ধান লাগানোর সম্ভাবনা রয়েছে। সুষম সার, আধুনিক পদ্ধতিতে লাইন করে ধান লাগানো, নিবির পরিচর্যা ও যথা সময়ে রাসায়নিক সার, কীটনাশক প্রয়োগের জন্য আমার দফতর থেকে মাঠ পর্যায়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা প্রতিদিনই সময় উপযোগী পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। এতে করে চাষিরা বেশ উৎসাহী হয়ে বোরা ধান লাগানো শুরু করেছে।