রবিবার, ২ এপ্রিল, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৯ চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ।
রাণীনগর প্রতিনিধি
নওগাঁর রাণীনগরে ঘোষগ্রাম কফিলিয়া উচ্চবিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী সাফিনা শান্ত মুনমুনকে (১৫) অপহরণের ১২দিন পর আত্রাই উপজেলার গুলিয়া গ্রাম থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অপহরণকারী মূলহোতা এজাহারভুক্ত আসামি মশিউরসহ অন্যরা পালিয়ে গেলে অপহিৃতাকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়।
থানা সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মামুনুর রশিদ প্রয়োজনীয় ফোর্স নিয়ে গত রোববার রাতে অভিযান চালিয়ে আত্রাই থানার গুলিয়া গ্রাম থেকে অপহিৃতাকে উদ্ধার করে সোমবার সকালে ডাক্তরি পরীক্ষা ও বয়স নির্ধারণের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।
অপহৃতার পরিবার জানায়, উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের স্কুল পড়–য়া মেয়ে সাফিনা শান্ত মুনমুন ঘোষগ্রাম কফিলিয়া উচ্চবিদ্যালয়ে পড়াশুনা চলাকালীন সময়ে ভবানীপুর-বেতগাড়ী গ্রামের মাসুদুর রহমান তুফানের ছেলে মশিউর রহমান (২৩) বেশ কিছুদিন ধরে স্কুলে যাওয়া-আসার সময় প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতো। পারিবারিকভাবে নিষেধ করলে সে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে এবং অপহরণের হুমকি দিতে থাকে। এর ধারাবাহিকতায় ২৩ নভেম্বর সকালে বেতগাড়ী বাজারে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় মুনমুনকে অপহরণ করে নিয়ে যায় বলে মুনমুনের মা রিতা বেগম জানান। ঘটনার পর থেকে পরিবারের লোকজন সম্ভাব্য সকল জায়গায় অনেক খোঁজাখুজি করে তার কোন সন্ধান না পায় না। ঘটনার দুইদিন পর মুনমুনের মা রিতা বেগম বাদী হয়ে রাণীনগর থানায় অপহরণের মূলহোতা মশিউরসহ চারজনকে আসামি করে গত ২৫ নভেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করে। এর ১২ দিনপর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আত্রাই উপজেলার গুলিয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে অপহিৃতা মুনমুনকে উদ্ধার করে পুলিশ গতকাল সোমবার সকালে ডাক্তরি পরীক্ষা ও বয়স নির্ধারণের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাণীনগর থানার এসআই মামুনুর রশিদ জানান, মেয়েটিকে অপহরণ করার পর থেকেই আসামিরা তাকে বিভিন্ন জায়গায় আটক করে রাখে। বারবার স্থান পরিবর্তন করার কারণে আমাদের কয়েকটি অভিযানও ব্যর্থ হয়। অপহরণকারীর মূলহোতা মশিউর রহমানকে গ্রেফতার সহ অপহিৃতাকে উদ্ধারের অব্যাহত চেষ্টার এক পর্যায়ে রোববার রাতে আত্রাইয়ের গুলিয়া গ্রাম থেকে উদ্ধার করা হয়।