রাবিতে ‘ওভারভিউ অব সাইকোলজিক্যাল অ্যাসেসমেন্ট’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৪, ৬:৩৩ অপরাহ্ণ


রাবি প্রতিবেদক :রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) মনোবিজ্ঞান বিভাগের উদ্যোগে ‘ওভারভিউ অব সাইকোলজিক্যাল অ্যাসেসমেন্ট’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ ইসমাঈল হোসেন সিরাজী একাডেমিক ভবনের আইকিউএসি কনফারেন্স কক্ষে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে ছিলেন সূচনা ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব পেডিয়াট্রিক নিউরো ডিজঅর্ডার এন্ড অটিজম এর কো-অর্ডিনেটর নিউরোলজিস্ট ড. মাজহারুল মান্নান।

প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবির। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মাহবুবা কানিজ কেয়া।

সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে ড. মাজহারুল মান্নান বলেন, আমাদের প্রধান কাজ হলো সচেতনতা। বক্তব্য দিয়ে সচেতনতা বাড়ানো সম্ভব না, বরং মাঠে নেমে কাজ করার মাধ্যমে সচেতনতা সম্ভব। আমরা যদি বিশেষ চাহিদা সম্পূর্ণ মানুষদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে চাই, তাহলে পিতা-মাতাকে অনেক সচেতন হতে হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আরও বেশি সচেতনতা মূলক প্রোগ্রাম করতে হবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, এমন অনেক কিছু আছে যা আমরা চোখের সামনে থেকেও দেখতে পারি না। ।তবে দৃষ্টির অন্ত্ররালে যারা এমন কিছু দেখতে পায়, তারা আসলেই অনন্য মানুষ। জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের সংখ্যা খুব একটা বেশি না। আমাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার সাথে এর একটা সম্পর্ক আছে।

বিখ্যাত ব্যক্তিদের উদাহরণ দিয়ে উপাচার্য বলেন, কার মধ্যে কী অমৃত শক্তি আছে, সেটাকে বের করতে অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে দেখা গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের বাকা ছেলেবেলাকে সাইকোলজিস্টরাই পারবে ঠিক করতে। তিনি সর্বোচ্চ সাহায্যের আশ্বাস দেন এবং বলেন, যদি দরকার হয় সমাজকল্যান বিভাগ থেকে স্কুল করবো। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ট্রেনিং দিবো, যাতে পরবর্তীতে তাদের চাকরির পিছনে ঘুরতে না হয়। তিনি এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব আরোপ করে।

উপ-উপাচার্য মো. হুমায়ুন কবির বলেন, আমাদের যাদের বিশেষ চাহিদা সম্পূর্ণ শিশু আছে, তাদের পাশে আমাদের সবাইকে দাঁড়াতে হবে। এটা শুধু মা-বাবার দায়িত্ব না, পরিবারের সবার দায়িত্ব। তাদের সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য, চিকিৎসা থেকে শুরু করে যা যা লাগবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন যতটুকু সহযোগিতা করা সম্ভব, তা আমরা করব।

উপ-উপাচার্য মো. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, আমাদের পরিবার, সমাজ ও দেশে যারা জন্মগ্রহণ করে, তাদের সুচিকিৎসা দিয়ে রক্ষা করা শুধু সে বাচ্চার পরিবারের দায়িত্ব নয় বরং সমাজের সবার। তার জন্য এমন নয় যে, অনেক অর্থ, পরিশ্রম লাগবে। শুধু লাগবে সঠিক মানসিকতা।

মনোবজ্ঞান বিভাগ ও অনুষ্ঠানের সভাপতি ড. মাহবুবা কানিজ কেয়া বলেন, ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা চলায় তারা আজকে উপস্থিত থাকতে পারেনি। তবে ভবিষ্যতে আমরা শুধু শিক্ষার্থীদের নিয়ে এই ধরনের কর্মশালা করার চেষ্টা করব।
এট আগে, সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগে শহীদ মীর আব্দুল কাইয়ূম সাইকোলজিক্যাল অ্যাসেসমেন্ট ল্যাব উদ্বোধন করেন অতিথিরা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।