রাবিতে ককটেল বিস্ফোরণ, ক্যাম্পাসে উত্তেজনা || শিবির রুখতে ছাত্রলীগের মিছিল, পুলিশের চেকপোস্ট

আপডেট: আগস্ট ১৮, ২০১৭, ১:৫০ পূর্বাহ্ণ

রাবি প্রতিবেদক


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এর কিছুক্ষণ পর ক্যাম্পাসে শিবির প্রতিরোধে মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। এ ঘটনায় ক্যাস্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ক্যাম্পসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, রাত ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হলের ভেতরে মুক্ত মঞ্চের পাশে বিকট শব্দে একটি ককটেল বিম্ফোরিত হয়। তবে এঘটনায় কাউকে দেখতে পায় নি হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা। কে বা কারা এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে তা জানা যায়নি। তবে ছাত্রলীগের দাবি নাশকতা সৃষ্টির লক্ষ্যে শিবির এই বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।
এদিকে ককটেল বিস্ফোরণের পর ক্যাম্পাসে শিবির প্রতিরোধে মিছিল করে রাবি শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এছাড়া বিভিন্ন হলের গেটে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দেয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বলেন, শিবির যদি সংগঠিত হয়ে হামলা চালায় তাহলে ছাত্রলীগ তার সমুচিত জবাব দিবে। এ জন্যই ছাত্রলীগ সংগঠিত হয়ে সবসময় তৎপর থাকছে।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরপরই ক্যাম্পাসের কাজলা ও বিনোদপুর গেটে পুলিশি চেকপোস্ট বসানো হয়। শিক্ষার্থীদের কার্ড চেক করে প্রবেশ করানো হয়। এসময় শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়্।ে আর ককটেল বিস্ফোরনের পর পুলিশের ৮ থেকে ১০টি গাড়িবহর ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে টহল দেয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ জিয়াউর রহমান ও শহীদ হবিবুর রহমান হলের গেট বন্ধ করে দেয়া হয়। হলে কাউকে ঢুকতে বা বের হতে দেয়া হয়নি। এ ঘটনায় ক্যাম্পসে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. লুৎফর রহমান বলেন, গতকাল শিবির ঝটিকা মিছিল করেছে। তারা বেশ কয়েকদিন তৎপরতা চালাচ্ছে। এছাড়া আজ রুয়েটে একটি মারামারির ঘটনা ঘটেছে। সব মিলিয়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা ঠিক রাখতে পুলিশের সহায়তা নেয়া হচ্ছে।
মতিহার থানার অফিসার (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, সন্ধ্যা থেকে নিরাপত্তা বৃদ্ধির জন্য বিনোদাপুর ও কাজলা গেটে কার্ড চেক করা হয়েছে। পুলিশ তাদের দায়িত্ব পালন করেছে। নিরাপত্তাব্যবস্থা ঠিক রাখতে ক্যাম্পাসে পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে।