রাবিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের বিক্ষোভ সমাবেশ, ছাত্রলীগের শোডাউন

আপডেট: জুলাই ৯, ২০২৪, ৮:৫৮ অপরাহ্ণ

রাবি প্রতিবেদক:


১ দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে এই কর্মসূচি পালন করে তারা। একই সময়ে প্যারিস রোডের নিকটে মমতাজ উদ্দিন একাডেমিক ভবনের সামনে অবস্থান করতে দেখা যায় শাখ ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মীকে।

আগের দিনের মত ১ দফা দাবি জানান কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা। তাদের দাবি হলো- সরকারি চাকরির সকল গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর গোষ্ঠী ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের জন্য কোটাকে ন্যায্যতার ভিত্তিতে নূন্যতম পর্যায়ে এনে সংসদে আইন পাস করে কোটা পদ্ধতিকে সংস্কার করতে হবে।

সরেজমিনে দেখা যায়, পূর্বনির্ধারিত সময় অনুযায়ী বিকেল তিনটা থেকেই প্যারিস রোডে জড়ে হতে থাকেন কোটা সংস্কার সমর্থনকারী শতাধিক শিক্ষার্থী। যদিও এর আগের কর্মসূচির তুলনায় এদিন উপস্থিতি কম ছিল। খুব বেশি স্লোগান দিতেও দেখা যায়নি তাদের। কর্মসূচিও অল্প সময়ের মধ্যে শেষ করে দেন তারা। একই সময়ে মমতাজ উদ্দিন একাডেমিক ভবনের সামনে জড়ো হতে থাকেন শাখা ছাত্রলীগের শতাধিক নেতাকর্মী।

ছাত্রলীগের ১০-১৫ জনের একটি গ্রুপ প্যারিস রোড হয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সামনে দিয়ে মমতাজ উদ্দিন ভবনের সামনে যেতে দেখা যায়। কয়েকবার মোটরসাইকেলের হর্ন বাজিয়ে কোটা আন্দোলনকারীদের ভিতর দিয়েও যেতে দেখা যায় ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মীকে। কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের কর্মসূচি শেষ হওয়ার পরে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে শোডাউন করতে দেখা যায়।
বিক্ষোভ সমাবেশে ‘কোটা পদ্ধতি সংস্কার আন্দোলন, রাবি’র অন্যতম সমন্বয়ক আমানুল্লাহ খান বলেন, যদি বলা হয় কোটায় পাইলট বা ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ দেওয়া হবে, সেটা কি কেউ মেনে নিবে? মেনে নিবে না।

তাহলে, যারা রাষ্ট্র চালাবে, তাদেরকে কিভাবে এতো পরিমাণে কোটায় নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টা মেনে নেওয়া যেতে পারে? দক্ষ মানবসম্পদ নিয়োগ দেওয়া না হলে, রাষ্ট্র টিকবে কিভাবে? রাষ্ট্রতো ধসে পড়বে। প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা একটা জাতিকে শুরু থেকে গড়ে তোলে। এখন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়োগের ক্ষেত্রে যদি ৯০-৯৫ ভাগ কোটা দেওয়া হয়, তাহলে এ রাষ্ট্রকে ধ্বংস করার জন্য কোনো বহিঃশত্রুর ষড়যন্ত্র করার দরকার হবে না।

একই সময়ে কাছাকাছি জায়গায় অবস্থান নেওয়া ও শোডাউনের বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু বলেন, এটা আমাদের সাংগঠনিক কাজের অংশ ছিল। আমরা কয়েকদিন পরে হলে কর্মীসভা করবো। সেটা কিভাবে করা যায়, সেই প্রসঙ্গেই সবাই কথা বলছিল। কোটা আন্দোলনের সঙ্গে আমাদের কর্মসূচির কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ