শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
রাবি প্রতিবেদক :
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ’ স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদুল্লাহ কলা ভবনের ১৫০ নম্বর কক্ষে বাংলা গবেষণা সংসদ এ স্মারক বক্তৃতার আয়োজন করে। এতে বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক রফিাউল্লাহ খান।
‘মুক্তিযুদ্ধোত্তর বাংলাদেশের কবিতা : ভাবরূপের পালাবদল’ শীর্ষক বিষয়ের ওপর বক্তৃতায় অধ্যাপক রফিকউল্লাহ খান বলেন, ‘বাংলাদেশের কবিতায় ব্যক্তিসত্তার স্ফুরণ অপেক্ষা সমষ্টিলগ্ন চেতনাই অধিকতর ফলবর্তী হয়েছে। কিন্তু আধুনিক কবিতায় স্বভাবধর্মই হচ্ছে ব্যক্তিচৈতন্যের স্বাবলম্বী আত্মপ্রকাশ।’
অধ্যাপক রফিকউল্লাহ খান বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধোত্তর তিনযুগে বাংলাদেশে সমাজজীবনে বহুমুখী ভাঙাগড়া ও উত্থানপতনে এর সৃজনশীল মনোজগতে সূচিত হয়েছে অভূতপূর্ব রূপান্তর। শতাব্দী-সংক্রান্তির অস্থিরতায়, বিশ্বপুঁজিবাদ, রাজনীতি ও সাংস্কৃতিক আধিপত্যের বহির্চাপ এবং দেশি রাজনীতি, অর্থনীতি ও সংস্কৃতির অন্তর্চাপে এ সময়ের তরুণমাসন সঙ্গতকারণেই ক্রমাগত অর্ন্তমুখী হয়ে উঠেছে। সব কালের কবিতারই একটা নিজস্ব ভাষারীতি থাকে। কেননা আমরা জানি, ভাষার চলমানতা সময়ের মতোই দ্রুতগামী। মানুষকে যেমন শেকড়ের কাছে যেতে হয়, অস্তিত্বের প্রয়োজনে- কবিতাকেও তেমনি মিথ-উৎস কিংবা ঐতিহ্যলোকের মতো অগ্রজের অভিজ্ঞতালোকেও কখনও কখনও পরিভ্রমন করতে হয়। নতুন কালের কবিতার বিস্তৃত মূল্যায়নের জন্য, একটা পূর্ণবৃত্ত কাব্যবস্তু, ভাবলোক ও ভাষারূপ সন্ধানের লক্ষ্যে আমাদের আরও কিছুটা কাল হয়তো অপেক্ষা করতে হবে।
বাংলা গবেষণা সংসদের সভাপতি অধ্যাপক খন্দকার ফরহাদ হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন রাবির বাংলা বিভাগের সভঅপতি অধ্যাপক অমৃতলাল বালা। এছাড়া অনুষ্ঠানে ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্র জীবনী পাঠ করেন বাংলা গবেষণা সংসদের সচিব অধ্যাপক মিজানুর রহমান খান। অনুষ্ঠানে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকেরা উপস্থিত ছিলেন।#