রাবিতে ধর্ষণবিরোধী বিক্ষোভ মিছিলে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়ায় বাকবিতণ্ডা

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ৫, ২০২৪, ১০:২২ অপরাহ্ণ

ছাত্রলীগ ও বাম সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়


রাবি প্রতিবেদক:জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবি ও অব্যাহত নারী নিপীড়নের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ছয়টি ছাত্রসংগঠন। এসময় বিক্ষোভকারীরা প্রধানমন্ত্রী ও ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়ায় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়।

সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে বিক্ষোভ মিছিলে শেষে বিক্ষোভকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে সমাবেশে বক্তব্য প্রদানকালে এঘটনা ঘটে। এসময় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ-হিল- গালিব ও তার অনুসারীদের সঙ্গে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের বাকবিতণ্ডা হয়।

এবিষয়ে নাগরিক ছাত্র ঐক্যের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক মেহেদী হাসান মুন্না জানান, বিক্ষোভ মিছিলের পর বিশ্বিবদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের সামনে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার আগে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব বাঁধা সৃষ্টি করেন। যে দেশে গণতন্ত্রের সুষ্ঠু পরিবেশ নেই, সে দেশে তো তারা বাঁধা দিবেই; এ বিষয়ে তাদের লাইসেন্সও রয়েছে। সরকারের কাছ থেকেই তারা এই অধিকার পেয়েছে।

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব বলেন, কতিপয় ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রীর নামে কটূক্তিমূলক কথা এবং ছাত্রলীগের নামে বিতর্কিত স্লোগান দিচ্ছিলেন। ক্যাম্পাসে সরকার ও ছাত্রলীগের নামে স্লোগান দিতে মানা করেছি। ব্যক্তির দায় কখনো সংগঠন নিবেনা। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের যে সকল নেতা-কর্মী এ ধর্ষণের ঘটনার সাথে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ইতোমধ্যেই ব্যবস্থা নিয়েছে এবং তাদেরকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের কাছে আমি অনুরোধ জানিয়েছি, এ ক্যাম্পাস আমার, আপনার সবার। ক্যাম্পাসকে স্থিতিশীল রাখতে আমাদের ভূমিকা রাখতে হবে।

বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, রাবি শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ-সম্পাদক জান্নাতুল নাইমসহ বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রী, নাগরিক ছাত্র ঐক্য, ছাত্র গণমঞ্চ, ছাত্র যুব আন্দোলন ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের নেতাকর্মীরা।
উল্লেখ্য, শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ৯টার দিকে জাবির মীর মশাররফ হোসেন হলে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে পাশের জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে জাবি শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক সম্পাদকসহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ