শনিবার, ১০ জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ২৭ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
রাবি প্রতিবেদক
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) মুক্তিযোদ্ধার নাতি-নাতনিদের কোটায় ভর্তির সুযোগ প্রদানের দাবিতে টানা তিনদিনব্যাপী প্রতিকী অনশন শুরু করেছেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ রাজশাহী জেলা ও মহানগর ইউনিট কমান্ডের বীর মুক্তিযোদ্ধারা। গতকাল সোমবার বেলা ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন।
অবস্থান ধর্মঘটে বক্তারা বলেন, ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বরাবরই স্বাধীনতা বিরোধীদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত হয়ে আসছে। আমরা দেখেছি এখানে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীদের চাকরিতে নিয়োগ ও পদোন্নতি দেয়া হয়। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তান-সন্ততিদের সঠিক মূল্যায়ণ করা হয় না।’
তারা আরো বলেন, ‘আমরা ২০১৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধা নাতি-নাতনিদের ভর্তির কোটা চালু হওয়ার পর রাবির ভিসির দপ্তরে গিয়েছিলাম তখন তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছিলেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তিনি কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন নি। আগামী তিন দিনের মধ্যে যদি এর ফল আমরা দেখতে না পাই তাহলে আমরা আরো কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করব।’
বক্তারা বলেন, ‘ভিসি-প্রো ভিসি মহোদায় আজ মুক্তিযোদ্ধাদের চেনেন না। লিটন, বাদশাকে চেনেন না। কাদের সহায়তায় প্রশাসনের চেয়ারে বসেছেন? বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতা হয়েছিলেন, ভিসির পদ নিতে। অথচ আজ বেঈমানি করছেন।’
তালবাহানা ছেড়ে দ্রুত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের মূল্যায়ণ করুন। না হলে পরিণতি ভয়ানক হবে। তার সব দায়ভার আপনাদের কাঁধে পড়বে বলে তারা জানান।
রাজশাহী মহানগর সহকারী কমান্ডার আবুল বাশারের সঞ্চালনায় প্রতীকী অনশনে বক্তব্য দেন রাজশাহী জেলা কমান্ডার ফরহাদ আলী, রাজশাহী জেলা সহকারী কমান্ডার আলী আসলান, সাবেক রাজশাহী জেলা কমান্ডার সাইদুর রহমান, মতিহার থানা কমান্ডার আব্দুল হান্নান, রাজপাড়া থানা কমান্ডার শুকুরউদ্দিন, রাজশাহী জেলা ইউনিট কমান্ডের নির্বাহী সদস্য আবুল হাসান খন্দকার, নির্বাহী সদস্য এড. আব্দুস সামাদ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, এর আগে সংবাদ সম্মেলন, স্মারকলিপি ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে নাতি-নাতনিদের কোটায় ভর্তির দাবি জানায় মুক্তিযোদ্ধারা। প্রশাসনের সাড়া না পেয়ে অনশন কর্মসূচি ঘোষণা করেন তারা ।