রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৮ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।
রাবি প্রতিবেদক
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ছাত্রদের জন্য ১১টি ও ছাত্রীদের জন্য ৬টি আবাসিক হল রয়েছে। বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে একটি আন্তর্জাতিক ডরমিটরি। ডরমিটরি ও হলগুলোতে সবমিলিয়ে প্রায় দশ হাজার শিক্ষার্থী অবস্থান করেন। তবে এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে নেই কোনো ফার্মেসি বা ওষুধের দোকান। প্রয়োজনীয় ওষুধের জন্য শিক্ষার্থীদের যেতে হয় ক্যাম্পাস সংলগ্ন বাজারগুলোতে। এতে দ্রুত সময়ে ওষুধ না পাওয়া এবং অতিরিক্ত সময় ও অর্থ ব্যয় হওয়ার অভিযোগ রয়েছে শিক্ষার্থীদের।
শিক্ষার্থীরা জানান, প্রয়োজনীয় ওষুধের জন্য সবাইকে ক্যাম্পাস সংলগ্ন বিনোদপুর বাজার, কাজলা বাজার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেশন বাজারের ফার্মেসিগুলোতে যাওয়া লাগে। হঠাৎ কোনো শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত সময়ের মধ্যে ওষুধ পাওয়ার কোনো উপায় নেই। ক্যাম্পাসে বিভিন্ন ধরনের দোকান থাকলেও ওষুধের মতো একটি অতি প্রয়োজনীয় জিনিসের দোকান না থাকায় কিছুটা ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
এ বিষয়ে শহীদ হবিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আনোয়ার আহমেদ বলেন, ক্যাম্পাসের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের দোকান আছে। কিন্তু ফার্মেসি বা, ওষুধের কোনো দোকান নেই। অথচ ওষুধ একটি অতি প্রয়োজনীয় জিনিস। বিনোদপুর, কাজলা ও স্টেশন বাজারে ওষুধ পাওয়া যায়। কিন্তু এই স্থানগুলোতে যেতে অতিরিক্ত সময় এবং অর্থ ব্যায় করা লাগে। এজন্য আমার মতে, ক্যাম্পাসের মধ্যেও দুই-একটা ঔষধের দোকান থাকা উচিত। অন্তত টুকিটাকি চত্বরে একটা ফার্মেসি থাকলে ভালো হতো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের আবাসিক শিক্ষার্থী তাহসিনা উসিলা খুশি বলেন, মেয়েদের ইমার্জেন্সি কোনো সমস্যা হলে রাতে বাইরে যেতে সমস্যা হয়। ফার্মেসি থেকে ওষুধ ক্রয় করতে পারবো। ক্যাম্পাসে একটা ফার্মেসি হলে আমাদের ভোগান্তি কিছুটা কমবে। আশা করছি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসন শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে অন্তত একটা ফার্মেসির ব্যবস্থা করবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপ-উপাচার্য (প্রশাসনিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দিন বলেন, অনেকেই ফার্মেসির বিষয়টা দাবি করছে। আমি পদাধিকারবলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের সভাপতি। বিষয়টা নিয়ে কাজ করবো, মাথায় নিয়েছি আমি।
কতদিনের মধ্যে বাস্তবায়ন সম্ভব জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্দিষ্ট করে কোন সময় বলা সম্ভব না এখব। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে মেডিকেল কমিটির এখনো কোনো বৈঠক হয়নি। পরবর্তী বৈঠকে আমি বিষয়টা উঠাবো। তাদের কাছে পরামর্শ চাইবো, কিভাবে পরিচালনা করা যায়, লোকেশন কোথায় হলে ভালো হয়। প্রয়োজনবোধে শিক্ষার্থীদেরও পরামর্শ গ্রুহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে তৎকালীন প্রশাসন একটি ফার্মেসি চালুর আশ্বাস দিলেও তা আশার মুখ দেখেনি।