রবিবার, ১৯ জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ৫ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
রাবি প্রতিবেদক:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) বিশ্ব মেডিটেশন দিবস পালন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে মঙ্গলবার (২১ মে) ভোরে ‘ভাল মানুষ ভাল দেশ, স্বর্গভূমি বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবাস বাংলাদেশ মাঠে আলোচনা সভা ও সম্মিলিত মেডিটেশনের আয়োজন করা হয়।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে কোয়ান্টাম মেথডের প্রবর্তক শহীদ আল বোখারী মহাজাতক অডিও বাণীতে বলেন, ‘ভ্রান্ত জীবনাচারে সৃষ্ট বিভিন্ন রোগ থেকে মুক্তি এবং টোটাল ফিটনেসের জন্যে প্রয়োজন মেডিটেশন ও সুস্থ জীবনাচার।’
আলোচনায় সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাবি আইবিএসের অধ্যাপক ড. এম মোস্তফা কামাল এবং সমাপনী বক্তব্য রাখেন উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শহিদুল আলম। প্রোগ্রামে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের এই আয়োজনকে সাধুবাদ জানান এবং কোয়ান্টাম চেতনার উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন।
উল্লেখ্য, ধ্যান ও সুস্থ জীবনাচারের বাণী সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে ২০২১ সাল থেকে পালিত হয়ে আসছে দিবসটি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ২০২২ সালে যোগ মেডিটেশনকে স্বাস্থ্যসেবার পরিপূরক হিসেবে গ্রহণ করেছে। ২০২৩ সালে শিক্ষা ও শিক্ষক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের অংশে পরিণত হয়েছে ধ্যান।
আত্মশক্তির বিকাশ, রোগ নিরাময়, সাফল্য কিংবা প্রশান্তি লাভে মেডিটেশনের গুরুত্ব এখন প্রমাণিত সত্য। প্রশান্তি আর সুখানুভূতি নিয়ে বিশ্বজুড়ে বর্তমানে প্রায় ৫০ কোটিরও বেশি মানুষ নিয়মিত ধ্যান বা মেডিটেশন করেন। নিয়মিত-অনুশীলন মানুষের ভেতরের ইতিবাচক সত্ত্বাকে জাগিয়ে তোলে। নিয়মিত চর্চায় কমে গেছে মনের রাগ ক্ষোভ দুঃখ হতাশা টেনশন স্ট্রেস কিংবা মানসিক চাপ।
নেতিবাচকতা হতে দৃষ্টিভঙ্গি বদলে যায় ইতিবাচকতায়। সমমর্মী হয়ে ওঠে মন। ফলে পারিবারিক পেশাগত-সামাজিক সম্পর্কগুলো আরও সুন্দর হয়ে ওঠে। মেডিটেশন দিবসের প্রত্যাশা, নিয়মিত চর্চায় সমমর্মিতা নিয়ে দেশের মানুষ রূপান্তরিত হবে সুস্থ সবল কর্মদ্যোমী সুশৃঙ্খল মানবিক ১ মহাসমাজে।