রাবিতে সংবাদ সম্মেলন ডেকে প্রগতিশীল শিক্ষকদের ‘হট্টগোল’

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০১৭, ১২:৪১ পূর্বাহ্ণ

রাবি প্রতিবেদক



রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের (আওয়ামীপন্থি) ডাকা সংবাদ সম্মেলনে দুই পক্ষের শিক্ষকদের মধ্যে হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের শিক্ষকদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের কারণে সংবাদ সম্মেলন ভণ্ডুল হয়ে যায়। গতকাল সোমবার বিকেল তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরি ভবনে এ ঘটনা ঘটে।
ঢাকায় রাবির অতিথি ভবন ক্রয়ে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ ওঠার বিষয়ে প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ গতকাল সোমবার বিকেল তিনটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরি ভবনে সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করে। লিখিত বক্তব্য তারা ওই ভবন ক্রয়ে সংবাদ মাধ্যমে ওঠা অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের দাবি জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের আহ্বায়ক অধ্যাপক রকীব আহমদ লিখিত বক্তব্য পাঠ করা শুরু করলে সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ফয়জার রহমান ও পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম দাঁড়িয়ে কথা বলতে শুরু করে। এসময় অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলামের পক্ষ নিয়ে অধ্যাপক রকীব আহমদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে যান কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের প্রশাসক অধ্যাপক সফিকুন্নবী সামাদী, সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক তারিকুল হাসান, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ফয়জার রহমান, পরিবসংখ্যান বিভাগের জাহানুর রহমান, প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম সাউদসহ অন্যরা।
এসময় অধ্যাপক রকীব আহমদের পক্ষ নিয়ে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সরকার সুজিত কুমার, গণিত বিভাগের অধ্যাপক জুলফিকার আলী, ফলিত পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আবু বকর মো. ইসমাইল, সমাজকর্ম বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রবিউল ইসলামসহ অন্যরা পাল্টাপাল্টি কথা বলা শুরু করেন। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় ও কয়েকজনের মধ্যে তেড়ে আসার ঘটনার ঘটে।
অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, সংবাদ সম্মেলনে যে লিখিত বক্তব্য তৈরি করা হয়েছে, তা কোনও ব্যক্তির হতে পারে, কিন্তু আমাদের দলের নয়। দলের বক্তব্য হলে স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য হিসেবে আমি জানবো না কেন? এই লিখিত বক্তব্য প্রকাশ হলে দলের নামে মিথ্য ও ভুল তথ্য যাবে, যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে ও শিক্ষক সমাজ ছোট হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বাধা দেয়ার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে প্রশাসক অধ্যাপক সফিকুন্নবী সামাদী বলেন, যদি ঢাকাতে অতিথি ভবন ক্রয়ে কোনও অনিয়ম হয়, তার বিচার আমিও চাই। কিন্তু দলের সদস্য হিসেবে সেটার জন্যে আমার মত নিতে হবে। স্টিয়ারিং কমিটির কথা লিখছেন, কিন্তু স্টিয়ারিং কমিটির সদস্যরা জানে না।
প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের আহ্বায়ক অধ্যাপক রকীব আহমদ বলেন, ‘সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যই দলের বক্তব্য। কারণ, দলের সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও যদি এই বক্তব্যে কারও আপত্তি থাকে, সেটা আমাদের জানালে আমরা আবার সভা আহ্বান করে সিদ্ধান্ত নিতাম। কিন্তু তারা সেটা না করে সংবাদ সম্মেলন বন্ধ করতে হট্টগোল করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তো অতিথি ভবন ক্রয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত অভিযোগের তদন্ত দাবি করেছি মাত্র। কিন্তু এখানে আপত্তি তোলা অর্থ কী, তা তো তারাই ভালো জানবেন।’

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ