রাবির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ও ক্যাফিটেরিয়ায় নতুন প্রশাসক নিয়োগ

রাবি প্রতিবেদক

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার ও কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব এই নিয়োগ দেন বলে জনসংযোগ দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
গ্রন্থাগারের নবনিযুক্ত প্রশাসক হলেন ইনফরমেশন সায়েন্স এন্ড লাইব্রেরী ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হাবিবুল ইসলাম। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় ক্যাফিটেরিয়ার নবনিযুক্ত প্রশাসক ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আওরঙ্গজীব মো. আব্দুর রহমান।

এর মধ্যে, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হাবিবুল ইসলাম রাবির ইনফরমেশন সায়েন্স এন্ড লাইব্রেরী ম্যানেজমেন্ট বিভাগ থেকে ১৯৯৮ সালে স্নাতক (সম্মান) ও ১৯৯৯ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ২০২৪ সালে তিনি রাবি থেকেই পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০০৭ সালে তিনি ইনফরমেশন সায়েন্স এন্ড লাইব্রেরী ম্যানেজমেন্ট বিভাগে প্রভাষক পদে যোগ দেন ও ২০২৪ সালে অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। তিনি আবাসিক শিক্ষক ছাড়াও রাবি বিএনসিসিতে শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

অধ্যাপক ড. আওরঙ্গজীব মো. আব্দুর রহমান রাবির ফলিত পদার্থবিজ্ঞান ও ইলেকট্রনিকস বিভাগ থেকে ১৯৯২ সালে স্নাতক (সম্মান) ও ১৯৯৩ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ২০০৯ সালে তিনি জাপানের কোচি ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৯৩ সালে তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ইলেকট্রনিকস ও ফলিত পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে প্রভাষক পদে যোগ দেন।

এরপর ২০০২ সালে তিনি রাবির ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে সহকারী অধ্যাপক পদে যোগ দেন ও ২০১৬ সালে অধ্যাপক পদে উন্নীত হন। তিনি সৌদি আরবের কিং খালিদ বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার এন্ড নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে দুই বছর অধ্যাপনা করেছেন। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদানের আগে তিনি এক বছর বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনে বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। তিনি রাবি সিনেটের একজন নির্বাচিত শিক্ষক প্রতিনিধি সদস্য। ইতোপূর্বে তিনি নিজ বিভাগের সভাপতির দায়িত্বও পালন করেন।

ড. মোহাম্মদ হাবিবুল ইসলাম ও ড. আওরঙ্গজীব মো. আব্দুর রহমানের বেশ কিছু প্রবন্ধ দেশ-বিদেশে গবেষণা জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। তাঁরা নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছেন।