মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
রাবি প্রতিবেদক
‘প্রতিটা জাতির সংস্কৃতি থাকে। কেননা স্বাধীন বাংলাদেশ ও আমাদের জাতি অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িত। বাইরে যাদি আমাদের সংস্কৃতি পাঠতে হয় তাহলে আমাদেরকে লোকসংগীতকেই পাঠাতে হবে। কেননা লোকস্গংীতই বিশ্বে শ্রেষ্ঠ সংগীত। তাই যারা ফোকলোরকে অবহেলা করে তারা বাংলাদেশের সংস্কৃতিই জানে না। এক সময় দেখা যাবে যে, লোকসংগীত ব্যতিত কোনো উৎসবই হচ্ছে না। এজন্য সরকারের কাছে সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর খোলার দাবি জানাচ্ছি। তবে যদি এ বিভাগ নাও খোলা হয় তাহলে অন্তত একশত নম্বরের ফোকলোর বিষয়ক একটি কোর্স রাখা দরকার।’
গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফোকলোর বিভাগের ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানের উদ্বোধক হিসেবে এসব কথা বলেন, রাবির সাবেক উপাচার্য ও ফোকলোর বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর আব্দুল খালেক।
তিনি আরো বলেন, ৭১’এ আমরা অনেকে পাক হানাদার বাহিনী থেকে রক্ষা পেতে ফোক অর্থাৎ সাধারণ জনগোষ্ঠির কাছে আশ্রয় নিয়েছিলাম। এ ফোকই মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করে দেশকে স্বাধীন করার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রেখেছে। এজন্য ফোকদের নিয়ে গবেষণার জন্যই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ফোকলোর বিভাগ খোলার পাশাপাশি ব্যাপক হারে ফোক চর্চা থাকতে হবে। ফোকলোর চর্চার মাধ্যমেই এদেশ থেকে জঙ্গিবাদ নির্র্মূল সম্ভব।’
বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাবিবুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান। আরো উপস্থিত ছিলেন, বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল খালেক, বিভাগের সভাপতি প্রফেসর আক্তার হোসেন, সদ্য সাবেক সভাপতি অধ্যাপক মোর্বারা সিদ্দিকা প্রমুখ। এসময় বিভাগের সকল শিক্ষক-শিক্ষর্থী উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে প্রতিষ্ঠাবর্ষিকী উপলক্ষে বিভাগের সামনে থেকে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে আনন্দ র্যলি বের করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিভাগের সামনে তারা র্যালি শেষে কেক কাটেন।
এদিকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিরাজী ভবনের সামনে বিভাগের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।