রাবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি ।। অভিযোগ তদন্তে কমিটি

আপডেট: আগস্ট ৭, ২০১৭, ১:১০ পূর্বাহ্ণ

রাবি প্রতিবেদক


রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষকদের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গতকাল রোববার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস সোবহান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। এদিকে উপাচার্যের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে আন্দোলনরত শিক্ষকরা কর্মসূচি স্থগিত করে ক্লাসে ফেরার ঘোষণা দিয়েছেন।
বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক আখতার ফারুককে তদন্ত কমিটির সভাপতি করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক এবং সিন্ডিকেট সদস্য মো. তাজুল ইসলাম ও মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. আব্দুল লতিফ। তাদেরকে দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়।
এদিকে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তদন্তে কমিটি গঠন করায় সভাপতির অপসারণ দাবির আন্দোলন স্থগিত করে ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আন্দোলনরত বিভাগের ১১ জন শিক্ষক। তবে তদন্ত শেষে ব্যবস্থা গ্রহণ না করা পর্যন্ত একাডেমিক ও প্লানিং কমিটির সভা বর্জনসহ বিভাগীয় সভাপতিকে অসযোগিতা অব্যাহত রাখবেন তাঁরা।
এর আগে ১১ শিক্ষক সভাপতি নাসিমা জামানের অপসারণ দাবিতে রোববার সকাল ৯টা থেকে বিভাগের সভাপতির কক্ষের সামনে অবস্থান নেয়। এসময় তারা সভাপতির পদত্যাগ ছাড়াও সহকারী অধ্যাপক রুখসানা পারভীনের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তের দাবি জানান। পরে তদন্ত কমিটি গঠন করে উপাচার্য শিক্ষকদের ক্লাসে ফেরার আহ্বান জানালে কর্মসূচি স্থগিত করের ১১ শিক্ষক।
আন্দোলকারী শিক্ষকদের অন্যতম অধ্যাপক আমিনুর রহমান বলেন, ক্লাস বর্জন করে আমাদের অবস্থান কর্মসূচি ছিল সভাপতি অধ্যাপক নাসিমা জামানের অপসারণ, সহকারী অধ্যাপক রুখসানা পারভীনের বিরুদ্ধে দেয়া লিখিত অভিযোগ তদন্তে কমিটি করা। উপাচার্য ঘটনাটি তদন্তে একটি কমিটি গঠন করে আমাদেরকে ক্লাসে ফিরে যেতে অনুরোধ করেছেন। ফলে আমরা আপাতত কর্মসূচি স্থগিত করে ক্লাসে ফিরে যাচ্ছি।
বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. নাসিমা জামান জানান, বিভাগের সান্ধ্যকোর্সে শিক্ষার্থীদের নকলে সহায়তা করেন ওই শিক্ষকরা। বিভিন্ন সময়ে অর্থ কেলেঙ্কারিতেও জড়িয়েছেন তারা। নিজেদের বিরুদ্ধে ওঠা ওই সব অপকর্ম থেকে বাঁচতে তারা একজোট হয়ে অশিক্ষকসুলভ আচরণ করছেন। প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটিতে কে দোষী আর কে নির্দোষ তা উঠে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
গত ২৭ জুলাই থেকে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক নাসিমা জামান ও সহকারী অধ্যাপক রুখসানা পারভীনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলে বিভাগের অন্য সব শিক্ষকরা। পরে বিভাগের সভাপতি ও রুখসানা পারভীনও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেন। এর মধ্যে রুখসানা পারভীন বিভাগের সাবেক সভাপতি ও রাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিনের বিরুদ্ধে একাডেমিক ও যৌন হয়রানির অভিযোগ তোলেন। যা মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে দাবি বিভাগের ১৩ জন শিক্ষকের মধ্যে আন্দোলনরত ১১ জন শিক্ষকের।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ