রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ৯ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
রাবি প্রতিবেদক
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দশম সমাবর্তনের নিবন্ধন ফি কমিয়ে ২ হাজার ২০০ টাকা করার দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে সমাবর্তনে অংশগ্রহণে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপ-উপাচার্যের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তারা এ স্মারকলিপি প্রদান করে। এছাড়া সমাবর্তনে ‘মানসম্মত’ বক্তা ও নিবন্ধনের সময় বাড়ানোর দাবিও জানিয়েছেন তারা।
স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধুমাত্র ¯œাতকোত্তর ক্যাটাগরিতে সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। আর এই একটি ক্যাটারিতে ৩ হাজার ৫৭০টাকা ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। যেখানে ঢাবিতে ¯œাতক ও ¯œাতকোত্তর উভয় ক্যাটাগরিতে নিবন্ধন ফি ছিল দুই হাজর টাকা করে, জাবিতে ¯œাতক ক্যাটাগরিতে এক হাজার ৫০০টাকা, ¯œাতকোত্তর ক্যাটাগরিতে এক হাজার ৫০০টাকা, ¯œাতক-¯œাতকোত্তর যৌথ ক্যাটাগরিতে দুই হাজার ৫০০টাকা এবং চবিতে ¯œাতক ও ¯œাতকোত্তর উভয় ক্যাটাগরিতে দুই হাজার টাকা নির্ধারিত ছিল। সেই হিসেবে রাবির এই ফি নিঃসন্দেহে অতিরিক্ত ও বাস্তবতা বিবর্জিত। যেখানে অধিকাংশ শিক্ষার্থী তার কাঙ্খিত চাকরি পায়নি এবং এখনও বাড়ি থেকে টাকা এনে নিজের খরচ নির্বাহ করছে, সেখানে এতটাকা খরচ করে সমাবর্তনে অংশ নেওয়া কোনওভাবেই সম্ভব নয়।
অংশগ্রহণে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ২০১১-২০১৪ সেশনে মাস্টার্স পাস করা ব্যাচকে হিসাবের আওতায় আনলে ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থী পাওয়া যাবে, যারা এখনও বেকার। কেউবা ঢাকায় টিউশনি করে চলছেন আর চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন, কেউ বাড়ি থেকে খরচ এনে কোচিং করছেন, কেউ পার্ট টাইম চাকরি করে নিজের খরচটা কষ্ট করে চালিয়ে নিচ্ছেন, অনেকে আবার বাড়ি ফিরে গেছেন। এখন এই অবস্থায় তাদের পক্ষে ৩ হাজার ৫৭০ টাকা ফি দিয়ে নিবন্ধন, তারপর রাজশাহীতে যাওয়া-আসা, থাকা-খাওয়ার খরচ জোগাড় করে কাক্সিক্ষত সমাবর্তনে অংশ নেওয়া সম্ভব হবে না।
গত ৩০ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৩ নভেম্বর থেকে সমাবর্তনের নিবন্ধন শুরু হবে। চলবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। ২০১১ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সময়ে পিএইচডি, এমফিল, ¯œাতকোত্তর এবং এমবিবিএস, বিডিএস ও ডিভিএম ডিগ্রি অর্জনকারীগণ এ সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। প্রত্যেকটি ক্যাটাগরিতে অংশগ্রহণকারীদের ৩ হাজার ৫৭০টাকা ফি দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক মশিহুর রহমান।
স্মারকলিপি গ্রহণকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান বলেন, ‘উপাচার্য রাজশাহীর বাহিরে অবস্থান করছেন। তিনি আসলে সমাবর্তন কমিটির মিটিং-এ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।