শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৫ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
রাবি প্রতিবেদক
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে ল্যাপটপ চোরের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন শিক্ষার্থীরা। কক্ষের তালা খুলে অহরহ ল্যাপটপ ঘটছে ল্যাপটপ চুরির ঘটনা। কয়েকদিন দিনের মধ্যে বেশ কয়েকটি ল্যাপটপ চুরির ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন শিক্ষার্থীরা। একই কায়দায় সবগুলো চুরির ঘটনা ঘটায় শিক্ষার্থীদের ধারণা এটা কোন সক্রিয় সিন্ডিকেটের কাজ।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে মাদার বখ্শ, শহীদ জিয়াউর রহমান ও শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী হল থেকে ৯টি ল্যাপটপ চুরির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে মাদার বখ্শ হল থেই কয়েকদিনের ব্যবধানে পাঁচটি ল্যাপটপ ও মোবাইল চুরির ঘটনা ঘটেছে।
মাদার বখ্শ হলের ২২৯ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী মো. জাকারিয়া ও অর্ণব চক্রবর্তী বলেন, গত শুক্রবার বিকেলে আমরা দুজন রুম থেকে বের হয়ে যায়। সন্ধ্যায় ফিরে দেখি রুমের তালা খোলা। ভেতরে গিয়ে দেখি টেবিলের উপর মাইক্রোফোন সেটটি নেই। লকার খুলে ল্যাপটপ নিয়েছে।
ক্ষোভ প্রকাশ অর্ণব চক্রবর্তী বলেন, হলের ভেতর কক্ষ তালা মেরে রেখেও যদি নিরাপত্তা না থকে তাহলে আমরা কোথায় নিরাপদ?। আমার অনেক দামি ল্যাপটপ চুরি হয়ে গেছে। সেখানে গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট, থিসিস পেপার আছে।
জিয়াউর রহমান হলের ৩৫৭ নম্বর কক্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী জুবায়ের হোসেন বলেন, সপ্তা খানেক আগে একদিন আমি সেদিন সন্ধ্যায় রুমে তালা দিয়ে ক্যাম্পাসে যাই। রাত ১০টার দিকে কক্ষে ফিরে দেখি তালা খুলে সব তছনছ। ল্যাপটপসহ মূল্যবান সব জিনিস নিয়ে গেছে। বিষয়টি হল প্রাধ্যক্ষকে জানালে তিনি ল্যাপটপ সঙ্গে নিয়ে বাইরে যাওয়ার পড়ামর্শ দেন।
শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের কয়েকজন আবাসিক শিক্ষার্থী বলেন, ‘কক্ষের তারা অক্ষত রেখে তালা খুলে চুরির ঘটনা ঘটছে। প্রায় একই কায়দায় চুরি করায় মনে হচ্ছে এটা কোন সক্রিয় সিন্ডিকেট কাজ। করছে। হলে চুরি বন্ধ করতে বহিরাগত চিহ্নিত করে বের করে দেয়াসহ কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান তারা।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কথা হয় মাদার বখ্শ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক তাজুল ইসলাম বলেন, কক্ষের তালা খুলে চুরি হচ্ছে, বিষয়টিতে আমরাও আতঙ্কিত। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা হয়েছে। প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভা আছে, সেখানে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে। যেকোন একটা সমাধান বের করার চেষ্টা করবো।