রাবি শিক্ষককে হুমকি দিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে চারজনের নামে মামলা

আপডেট: মে ২১, ২০২৫, ১:৪৪ অপরাহ্ণ


রাবি প্রতিবেদক :


সদ্য বহিষ্কৃত দুই সাংবাদিক ও এক বহিষ্কৃত ছাত্র ইউনিয়ন নেতাসহ চারজনের নামে মামলা করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফাইন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ হেদায়েত উল্লাহ। ছাত্রীকে জিম্মি করে ও বিকৃত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারের হুমকি দিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে মঙ্গলবার (২০ মে) মামলা করেছেন তিনি।

বুধবার (২১ মে) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক জানান, চেম্বারে ঢুকে হুমকি-ধামকি দিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে নাজমুস সাকিব, সুমন, সাজ্জাদ ও আতাউল্লাহর নামে মামলা করা হয়েছে। অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিবাদীরা হলেন, আইন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের সাবেক শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিব, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও দৈনিক খবরের কাগজের সদ্য বহিষ্কৃত রাবি প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম সুমন, রাবি শাখা ছাত্র ইউনিয়নের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাবির সমন্বয়ক মো. আতাউল্লাহ্ এবং ইতিহাস বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও দৈনিক কালবেলা’র সদ্য বহিষ্কৃত রাবি প্রতিনিধি সাজ্জাদ হোসেন সজিব।

এর আগে, গত ১৪ মে কয়েক সেকেন্ডের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। এতে দেখা যায়, ফাইন্যান্স বিভাগের শিক্ষক হেদায়েত উল্লাহ তার চেম্বারে এক ছাত্রীর সঙ্গে অবস্থান করছেন। ছাত্রী মাথায় কাপড় পেঁচিয়ে নিজেকে আড়াল করছেন। শিক্ষকও ক্যামেরা থেকে নিজেকে আড়ালের চেষ্টা করছেন। এ ঘটনার পর উভয়ের মধ্যে নেতিবাচক সম্পর্ক নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলতে থাকে।

শিক্ষক হেদায়েত উল্লাহ গত ১৮ মে সংবাদ সম্মেলন করে জানান, সেদিন তাকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে অভিযুক্তরা পাঁচ লাখ টাকা নিয়েছে। ছাত্রীর ক্ষতি করার হুমকি দিলে টাকা দিতে বাধ্য হন বলে জানান তিনি।
এর আগের দিন (১৭ মে) আরেক সংবাদ সম্মেলনে একই দাবি করেন ছাত্রী মারিয়া খাতুন। তিনি দাবি করেন, তিনি পড়াশোনা বিষয়ে কথা বলার জন্য ওই শিক্ষকের চেম্বারে গিয়েছিলেন।

একইদিন পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন অভিযুক্ত সদ্য বহিষ্কৃত দুই সাংবাদিক। তারা দাবি করেন, তাদের সঙ্গে অভিযুক্ত শিক্ষক বা শিক্ষার্থীর কোনো ধরনের আর্থিক লেনদেন হয়নি। তাদের উদ্দেশ্য ছিল কেবলমাত্র একটি অনৈতিক ঘটনার যথাযথ প্রতিবাদ ও প্রশাসনকে অবহিত করা। তবে, এদিন সন্ধ্যায় ওই শিক্ষকের সঙ্গে অভিযুক্ত নাজমুস সাকিবের একটি কল রেকর্ড ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

সেখানে অভিযুক্ত চারজনের টাকা নেওয়ার বিষয়টা শোনা যায়। এরপরের দিন (১৮ মে) ওই দুই সাংবাদিককে বহিষ্কার করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি। পরে দৈনিক কালবেলা ও দৈনিক খবরের কাগজ কর্তৃপক্ষও তাদের প্রতিনিধিকে বহিষ্কার করে।