শনিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৪ কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
রাবি প্রতিবেদক
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও ভূমি প্রশাসন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান বিশ্বজিৎ চন্দের বিরুদ্ধে পিএইচডি ডিগ্রি সম্পন্ন না করে ডিপ্লোমা ডিগ্রির মাধ্যমে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া বিনা ছুটিতে প্রায় ১১ মাস বিদেশে অবস্থান করেও সেই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত দেখিয়ে বেতন-ভাতাদি নিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোর্শেদুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে অধ্যাপক মোর্শেদুল ইসলাম বলেন, বিশ্বজিৎ চন্দ পিএইচডি ডিগ্রী অর্জনের জন্য ২০০৩ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত চার বছর ১১ মাস ২৮ দিন পূর্ণবেতনে এবং ২০০৮ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত ২ বছর ১০ মাস ২৯ দিন বিনা বেতনে লন্ডনের ‘সোয়াস’ এ গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এ সময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের অনুমতি ব্যতিত ১০ মাস ২৯ দিন বিদেশে অবস্থান করেন। তবে ওই সময়টায় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মরত দেখিয়েছেন। গবেষণা কর্মে নিয়োজিত দেখিয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বজিৎ চন্দ ‘সোয়াস’ হতে ২০১৭ সালের ৩১ জুলাই পিএইচডি ডিগ্রী লাভ করেছেন মর্মে কাগজপত্র প্রদর্শন করে ২০১৮ সালে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি লাভ করেন। পরে ২০২০ সালে তিনি ইউজিসির সদস্য হিসেবে মনোনীত হন। তবে তার জমাকৃত সোয়াসের প্রত্যয়ন পত্রে দেখা যায়, পিএইচডি ডিগ্রি নয়, তিনি ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন করেছেন। অর্থাৎ বিশ্বজিৎ চন্দ পিএইচডি ডিগ্রী জালিয়াতির মাধ্যমে অধ্যাপক পদে পদায়ন নিয়েছেন।
তিনি দাবি জানান, অকৃতকার্য পিএইচডি ডিগ্রি কার্যে ব্যয়িত ৬ বছর ১১ মাস ২৮ দিনের অনুমোদিত ছুটি তার এক্টিভ সার্ভিস থেকে কর্তন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিনা অনুমতিতে ১০ মাস ২৯ দিন কর্মহীন অবস্থায় বিদেশে অবস্থান করায় গৃহীত আর্থিক সুবিধা ফেরত দিতে হবে। সার্ভিস রুল অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়া তাকে অবৈধ যোগদানে যারা সহযোগিতা করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তার অধ্যাপক পদ বাতিল করে ‘গোল্ডেন হ্যান্ডশেক’ এর সকল কার্যক্রম অনতিবিলম্বে বন্ধ করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এসব ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রার দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দের মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।