মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৬ ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
আলোচনাকালে ইরানী প্রতিনিধিদল জানান তারা ইরানের বিশ্ববিদ্যালয় ও উচ্চতর গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহের সাথে পারস্পরিক যোগাযোগ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখতে পারেন। তারা আরো জানান যে, কলা ও মানববিদ্যা ছাড়াও প্রকৌশল ও চিকিৎসা বিজ্ঞানের ক্ষেত্রেও তাদের বিশেষ আগ্রহ আছে। প্রসঙ্গক্রমে তারা জানান প্রযুক্তি গবেষণাক্ষেত্রে, বিশেষ করে অ্যারোস্পেস, ন্যানো টেকনোলজি, বায়োটেকনোলজি, স্যাটেলাইট টেকনোলজি ও সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ইরানের অবস্থান বিশ্বে শীর্ষ দশের মধ্যে। কাজেই পারস্পরিক সহযোগিতার ফলে উভয় দেশই লাভবান হতে পারবে।
রাবি উপাচার্য ইরানী প্রতিনিধিদলকে এই সফরের জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি ন্যানো টেকনোলজি ও বায়োটেকনোলজি এবং সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে বিশেষ আগ্রহ প্রকাশ করে সমন্বিত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে বিশেষভাবে জোর দেন। সে লক্ষ্যে উপাচার্য রাবি অফিস অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স এবং ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেন। তিনি বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘরের উন্নয়নেও ইরানী সহযোগিতা প্রত্যাশা করলে প্রতিনিধিদল সে বিষয়ে আগ্রহ ব্যক্ত করেন।
প্রতিনিধিদল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে আল-মোস্তফা বিশ্ববিদ্যালয় সফরের আমন্ত্রণ জানালে উপাচার্য যথাসময়ে সে সফরে যাবেন বলে জানান। এই সফরে রাবি ও আল-মোস্তফা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।পরে তারা এই সফরের স্মৃতিস্মারক বিনিময় করেন।
আলোচনাকালে অন্যদের মধ্যে অফিস অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক অধ্যাপক মো. আজিজুর রহমান, ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মো. শফিউল্লাহসহ বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রতিনিধিদলটি রাবি অফিস অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স ও ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগও পরিদর্শন করেন।