রবিবার, ১৬ মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২ চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে রামেবির অস্থায়ী কার্যালয়ে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং সকাল ৮টায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
সকাল সাড়ে ৮টায় রামেবির কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. রুস্তম আলী আহমেদের নেতৃত্বে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অংশ গ্রহণে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলক প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবদেন শেষে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে ১ মিনিট নিরবতা পালনসহ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারসহ সকল শহীদদের জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়।
এরপর সকাল সাড়ে ১০ টায় রামেবি’র অস্থায়ী কার্যালয়ে শহিদ বুদ্ধিজীবি দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. রুস্তম আলী আহমেদের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বত্তৃতা করেন, রেজস্ট্রার (অ.দা) ডা. মো. জাকির হোসেন খোন্দকার, উপ- কলেজ পরিদর্শক ডা. মোহাম্মদ মেহেরওয়ার হোসেন, সহকারী-রেজিস্ট্রার মো. রাসেদুল ইসলাম প্রমুখ।
সভা সঞ্চালনা করেন জনসংযোগ দপ্তরের সেকশন অফিসার মো. জামাল উদ্দীন। এ সময় রামেবির, পিএস টু ভিসি (ভারপ্রাপ্ত) ইসমাঈল হোসেন, সহকারী কলেজ পরিদর্শক (চ.দা) মো: নাজমুল হোসেন, মো. মাসুম খান, মো. শাকিল আহমেদ, মো. মিজানুর রহমান, তানভীর আহমেদ, মো. রেজাউল উদ্দিন, সহকারী প্রোগ্রামার ফারজানা ফাইজা, কবির আহমেদসহ রামেবির সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কোষাধ্যক্ষ তার বক্তব্যে বলেন. ১৯৭১ সালের এ দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের নিশ্চিত পরাজয় আঁচ করতে পেরে তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর, আল শামস বাহিনীর সহযোগিতায় দেশের শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিল্পীসহ বহু গুণীজনকে নির্মমভাবে হত্যা করে।
দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নিজ বাড়ি-ঘর থেকে তুলে নিয়ে বিভিন্ন টর্চার সেলে নির্মম নির্যাতনের পর হত্যা করে বধ্যভূমিতে লাশ ফেলে দেয়। এই পরিকল্পিত বুদ্ধিজীবী হত্যা শুধু বাংলার ইতিহাসে নয়, মানব সভ্যতার ইতিহাসেও জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড বলে বিবেচিত। তিনি আরো বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রেখে যাওয়া আদর্শ ও পথকে অনুসরণ করে একটি অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে পারলেই তাদের আত্মত্যাগ সার্থক হবে।
শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসের ত্যাগ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে আমাদের সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহবান জানান তিনি।