রাশিয়ার ‘বন্ধু’ নয় আমেরিকা, ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানাতে নারাজ পুতিন!

আপডেট: নভেম্বর ৬, ২০২৪, ৯:০২ অপরাহ্ণ

সোনার দেশ ডেস্ক:


দ্বিতীয়বার আমেরিকার মসনদে বসতে চলেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিপুল ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বী কমলা হ্যারিসকে হারিয়ে ফের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। একের পর এক রাষ্ট্রনেতা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ট্রাম্পকে। কিন্তু এখনই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বিজয়ী প্রার্থীকে শুভেচ্ছা জানাতে রাজি নন ভ্লাদিমির পুতিন। রাশিয়ার মতে, ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর ক্ষমতা আছে আমেরিকার। কিন্তু তারাই বারবার যুদ্ধে উসকানি দিচ্ছে।
বুধবার মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। ইতিমধ্যেই ২৭০টি ইলেক্টোরাল ভোটের ম্যাজিক ফিগার পার করে ফেলেছেন ট্রাম্প। তার পরেই রুশ প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এখনই ট্রাম্পকে শুভেচ্ছা জানানোর কথা ভাবছেন না পুতিন। কারণ রাশিয়ার মিত্র দেশগুলোর তালিকায় আমেরিকা পড়ে না। আগামী দিনে রাশিয়া সংক্রান্ত বিষয়ে ট্রাম্প কী মন্তব্য করেন, আপাতত সেদিকেই নজর রাখবে ক্রেমলিন।

উল্লেখ্য, ভ্লাদিমির পুতিনের বিরোধিতা করতে সেভাবে দেখা যায়নি ট্রাম্পকে। দুবছরেরও বেশি সময় ধরে চলতে থাকা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধেও আকারে-ইঙ্গিতে ক্রেমলিনের হয়েই সওয়াল করতে দেখা গিয়েছে রিপাবলিকান নেতাকে। যুদ্ধক্ষেত্রে হাজার হাজার প্রাণহানির পরে ট্রাম্পের যুক্তি ছিল, ইউক্রেনের উচিত, পুতিনের সঙ্গে সন্ধি করা। তাতে দুপক্ষেরই ক্ষয়ক্ষতি কমবে। সঙ্গে ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে থাকলে এক সপ্তাহের মধ্যে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামিয়ে দিতেন।

কিন্তু ট্রাম্পের এত ‘সমর্থন’ সত্ত্বেও তাঁর সাফল্যে এখনই উচ্ছ্বসিত হতে চায় না মস্কো। ব্যক্তি ট্রাম্প নয়, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে রাষ্ট্র আমেরিকাকেই বেশি গুরুত্ব দিতে চাইছে পুতিনের প্রশাসন। দীর্ঘদিনের ‘শত্রু’ আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্টকে আদৌ শুভেচ্ছা জানানো উচিত কিনা, সেই নিয়ে এখনই কোনও সিদ্ধান্ত নেবে না ক্রেমলিন। তবে পেসকোভের মত, মার্কিন বিদেশনীতি পরিবর্তনের সুযোগ রয়েছে ট্রাম্পের কাছে। আগামী জানুয়ারিতে তিনি যখন মসনদে ফিরবেন, সেই সময়ে রাশিয়া নিয়ে ট্রাম্প কেমন সিদ্ধান্ত নেন সেদিকে নজর রাখছে ক্রেমলিন। নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে ট্রাম্প বেশ কিছু রুশবিরোধী মন্তব্য করেছেন বলে দাবি পেসকোভের। সেই অবস্থান না পালটালে হয়তো ট্রাম্পের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখার কথা ভাববে না মস্কো।
তথ্যসূত্র: সংবাদ প্রতিদিন অনলাইন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ