রাসিক নির্বাচনে জোরেশোরে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় প্রার্থীরা

আপডেট: জুন ৪, ২০২৩, ১:৩১ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:


পাঁচ বছর পর রাজশাহীর সিটি করপোরেশনে (রাসিক) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ২১ জুন। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য সদ্যই প্রতীক বরাদ্দ পেয়েছেন মেয়র, সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলররা।

আর প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার প্রথম দিন শুক্রবার থেকেই জোরেশোরে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শুরু করে দিয়েছেন প্রার্থীরা।
১৪ দল, রাজশাহীর উদ্যোগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত ও ১৪ দল সমর্থিত মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের নির্বাচনী প্রচার মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৩ জুন) বিকেলে নগরীর জয় বাংলা চত্বর (বাটার মোড়) থেকে এই নির্বাচনী প্রচার মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক পদক্ষিণ শেষে সাহেব বাজার জিরোপয়েন্টে বড় মসজিদের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এরপর সেখানে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনী প্রচার মিছিলে নেতৃত্ব দেন ও পথসভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ মনোনীত ও ১৪ দল সমর্থিত নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

এদিকে শনিবার (৩ জুন) রাসিক নির্বাচনে জাতীয় পার্টি মনোনীত মেয়র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে নির্বাচনী প্রচারণা করেন। জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও লাঙল প্রতীকের প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন বলেন, তার কাছে মনে হয়েছে এখন পর্যন্ত রাজশাহীতে নির্বাচনের পরিবেশ ভালো। আর শেষ পর্যন্ত ভালো থাকলে সব প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণায় অন্যান্য নির্বাচনী সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবেন। প্রচার-প্রচারণা শেষে ভোটাররাও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে কেন্দ্রে যাবেন। আর নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হলে ফলাফল যাই হোক তা সবাই মেনে নেবেন। তবে ফলাফল যাই হোক তিনি শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে থাকবেন বলেও জানান স্বপন।

এছাড়াও শনিবার (৩ জুন) নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত মেয়র প্রার্থী গোলাম মুর্শিদ ফারুকী নগরীর আরডিএ মার্কেট এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা করেন। তবে ভোটের মাঠে কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকলেও কেউ কেউ বেশি সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী। হাতপাখার প্রার্থী মুরশিদ আলম বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ ভালো আছে। এখন পর্যন্ত নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বলেই তারা আশাবাদী। কিন্তু ইভিএম নিয়ে যেমন আস্থা আছে, তেমন শঙ্কাও আছে।

দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলছে মাইকিং। প্রধান প্রধান সড়ক থেকে পাড়ার অলিগলিতেও চলছে মাইকিং। ‘… ভাইয়ের মার্কা কী… আর কি?’, ‘মা-বোনকে জানিয়ে যাই … মার্কায় ভোট চাই’, ‘চারিদিকে একি শুনি … ভাইয়ের জয়ধ্বনি’। ‘… মার্কা কি?… ছাড়া আর কি’? ‘২১ জুন সারাদিন … মার্কায় ভোট দিন’ ইত্যাদি স্লোগান আর নিনাদ ভেসে বেড়াচ্ছে রাজশাহী শহরে। রাজশাহী সিটি করপোরেশনের ৩০টি ওয়ার্ড যেন প্রকম্পিত হয়ে উঠছে দুপুরে পর।

এদিকে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, মাত্রই প্রচারণা শুরু হয়েছে। প্রতীক বরাদ্দের দিনই (২ জুন) প্রার্থীদের আচরণবিধি প্রতিপালনের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। আর প্রার্থীরা আচরণবিধি মেনে চলছেন কিনা তা দেখভাল করার জন্য ১০ জন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তারা অন্যান্য দায়িত্বের সঙ্গে এবিষয়গুলোও মনিটরিং করছেন। তবে এখন পর্যন্ত কারো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। কেউ অভিযোগ করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ২১ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। মোট ১৫২টি ভোটকেন্দ্রের এক হাজার ১৭৩টি কক্ষে ওই দিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ইভিএমের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। রাসিক নির্বাচনে এবার ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ৫২ হাজার ১৫৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার এক লাখ ৭১ হাজার ১৮৫ জন এবং নারী ভোটার এক লাখ ৮০ হাজার ৯৭২ জন। আর এবারই প্রথমবারের মতো ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন ৩০ হাজার ১৫৭ ভোটার।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ