বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১২ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনে প্রার্থীদের আচরণবিধি প্রতিপালন করাতে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। তারা কোথাও আচরণবিধি লঙ্ঘন দেখলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে পারবেন ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেবেন।
২ জুন প্রতীক বরাদ্দের দিন থেকেই তাদের দায়িত্ব শুরু হয়েছে। প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা চলবে ১৯ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত। সেই সময় পর্যন্ত ১৮ দিনের জন্য গত ৩১ মে ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করেছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) শামীম আহমেদ।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার আহমেদ আলীকে সিটি করপোরেশনের ২২, ২৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ড, নাফিস এলাহীকে ১৩, ১৪ ও ১৫; শামসুল ইসলামকে ৭, ৮ ও ১০; তানিয়া আক্তার লুবনাকে ১৯, ২০ ও ২১; সাকিব হাছান খানকে ১, ২ ও ৪; সানিয়া বিনতে আফজলকে ৯, ১১ ও ১২, নগরীর বোয়ালিয়া ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার শাহীন মিয়াকে ২৬, ২৭ ও ৩০; পুঠিয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরাফাত আমান আজিজকে ৩, ৫ ও ৬ নম্বর, পবার সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিজিত সরকারকে ১৬, ১৭ ও ১৮ এবং গোদাগাড়ীর সহকারী কমিশনার (ভূমি) সবুজ হাসানকে ২৫, ২৮ ও ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ হয়ে গেছে। তাঁরা কীভাবে কাজ করছেন এটা রিটার্নিং কর্মকর্তা বলতে পারবেন।
রাজশাহীর জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটই ভোটের মাঠে নেমে পড়েছেন। ২ জুন থেকে তারা দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। কোথাও আচরণবিধি লঙ্ঘন দেখলে বিধি অনুযায়ী তারা ব্যবস্থা নিচ্ছেন। তাদের দায়িত্ব পালনে কোনো গাফিলতি নেই।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ‘১৯ নম্বর ওয়ার্ডে সংঘর্ষের খবর পেয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গিয়েছিলেন। তবে ততক্ষণে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে গিয়েছিল। কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি।’