বৃহস্পতিবার, ১ জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৮ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক :
ব্রিটিশ ভারতে স্বাধীনতা আন্দোলনকারী হিসাবে জওহরলাল নেহরুর জেলযাত্রার ইতিহাস রয়েছে। জেলে গিয়েছিলেন ঠাকুমা ইন্দিরা গান্ধীও। তবে তার প্রেক্ষিত ছিল অন্য। সুরাতের আদালত রাহুল গান্ধীকে কারাদণ্ড দিতেই সাতের দশকের সেই আলোচনা ফের রাজনৈতিক মহল থেকে আমজনতার আড্ডায় উঠে আসছে। প্রসঙ্গত, স্বাধীন ভারতে ইন্দিরা গান্ধীই প্রথম ব্যক্তি যিনি প্রধানমন্ত্রী পদে থেকেও জেলে গিয়েছিলেন।
৪৫ বছর আগে একদিনের জন্য জেলে যেতে হয়েছিল ইন্দিরা গান্ধীকে। তখন তিনি সদ্য প্রধানমন্ত্রী পদ হারিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন ১৯৭৫-এ জরুরি অবস্থা জারি করেন ইন্দিরা গান্ধী। ১৯৭৭-তে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার হতেই ওই বছরের লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবি হয় কংগ্রেসের। কেন্দ্রে সরকার গঠন করে জনতা পার্টি। প্রথম অ-কংগ্রেসি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন মোরারজি দেশাই।
ওই বছরই অক্টোবর মাসে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় সদ্য প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে। তাঁকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। যা দ্রুত কার্যকর করার নির্দেশ দেন জনতা সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চরন সিং।
১৯৭৭ সালের ৩ অক্টোবর গ্রেপ্তারির পর দিল্লিতে পদস্থ আমলাদের মেসে রাখা হয়েছিল ইন্দিরা গান্ধীকে। একরাত সেখানে কাটান তিনি। ৪ অক্টোবর আদালতে পেশ করতে অতিরিক্ত মুখ্য দায়রা বিচারক আর দয়াল তাঁকে নিঃশর্ত মুক্তি দেন। সঙ্গে সঙ্গে পুত্র সঞ্জয় গান্ধীর সঙ্গে বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন ইন্দিরা।
স্বাধীনতার পর মাত্র একদিনের জন্য ইন্দিরার গ্রেপ্তারি বাদ দিলে, নেহরু-গান্ধীর পরিবারের কাউকেই কখনও জেলে যেতে হয়নি। রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজ হলেও অনেক আইন বিশেষজ্ঞের মতে তাঁর জেলযাত্রার সম্ভাবনা খুবই কম। ইতিমধ্যেই তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছে আদালত। পাশাপাশি, এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদনের জন্য রাহুলকে এক মাস সময় দিয়েছেন বিচারক।
তথ্যসূত্র: সংবাদ প্রতিদিন