সোমবার, ২৭ মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ ।
রাবি প্রতিবেদক
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (রুয়েট) ক্রেডিট প্রথা বাতিল দাবির আন্দোলন চলাকালে শিক্ষকদের সঙ্গে অসদাচারণকারী শিক্ষার্থীদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষক সমিতি। গতকাল শনিবার দুপুরে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় কর্মসূচি অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. আব্দুল আলীম।
অধ্যাপক আব্দুল আলীম বলেন, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভা থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। গত ৪ ফেব্রুয়ারি ভিসিসহ অন্তত ২৫ শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে দুর্ব্যবহার ও সামাজিক মাধ্যমে শিক্ষকদের নিয়ে কটুক্তিমূলক মন্তব্যকারীদের শাস্তি চাই শিক্ষক সমিতির সদস্যরা। তদন্ত কমিটি দ্রুত প্রতিবেদন দাখিল করে জড়িতদের চিহ্নিত করবে এবং প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিলে শিক্ষকরা ক্লাসে ফিরে যাবে।
শিক্ষকদের দাবির প্রেক্ষিতে রুয়েট প্রশাসন গত বুধবার ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করে শিক্ষকদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানায়। ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ শিক্ষক সমিতিকে ক্লাসে ফিরে রুয়েটের অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম স্বাভাবিক করার অনুরোধ জানিয়েছেন। আর আন্দোলন চলাকালে যেকোন ধরনের ভুল-ত্রুটির জন্য শিক্ষার্থীরাও শিক্ষকদের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন। তবুও নিজেদের অবস্থানে অনড় রুয়েট শিক্ষক সমিতির সদস্যরা। ফলে টানা ১৫ দিন রুয়েটের সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এতে ভয়াবহ সেশন জটের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
রুয়েট সূত্রে জানা যায়, পরবর্তী বর্ষে উত্তীর্ণের জন্য ৪০ ক্রেডিটের মধ্যে বাধ্যতামূল নূন্যতম ৩৩ ক্রেডিট অর্জনের প্রথা বাতিলের দাবিতে ২৮ জানুয়ারি থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে অবস্থান কর্মসূচি পালন শুরু করেন রুয়েট শিক্ষার্থীরা। ৪ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীরা প্রশাসন ভবনে ঢুকে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থা নেন। এতে কার্যালয়ে অবরুদ্ধ হয়ে উপাচার্যসহ অন্তত ২৫ শিক্ষক সেখানে রাত্রিযাপন করেন। আন্দোলনের মুখে পরদিন অ্যাকাডেমিক কমিটির সভায় ক্রেডিট প্রথা বাতিল করে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেয় প্রশাসন। পরদিন ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে আন্দোলনে যুক্ত শিক্ষার্থীদের শাস্তি দাবিতে পাল্টা ধর্মঘট কর্মসূচি দিয়ে মাঠে নামেন রুয়েট শিক্ষকরা।