রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৬ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
ভোলাহাট প্রতিনিধি:
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলা বিখ্যাত রেশম ও আমচাষের জন্য। তবে এই দুই চাষে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ায় এখন ঝুঁকছে মিষ্টি কুমড়া চাষে। তুঁত ও আমের জমির ফাঁকা স্থানে এই চাষ করছে চাষিরা। এতে তারা আর্থিকভাবে লাভবানও হচ্ছে। আবার অনেকে আম গাছ কেটেও মিষ্টি কুমড়ার চাষ করছে। মিষ্টি কুমড়ার চাষ করে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা জাগাচ্ছে এই সবজি। এই জন্য তারা উৎসাহীও হয়ে উঠছেন চাষ করতে।
উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে, চলতি বছর ভোলাহাট উপজেলায় মিষ্টি কুমড়ার চাষ হয়েছে এক হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে। গত বছর কৃষকেরা মিষ্টি কুমড়া আবাদ করে লাভবান হওয়ায় এবারের চাষের জমির পরিমাণ বেড়েছে ৭০০ হেক্টও জমি। গত বছর কৃষকেরা বিঘাপ্রতি জমিতে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করে আয় করেছিলেন ৫০ হাজার থেকে টাকা পর্যন্ত।
এ মিষ্টি কুমড়া চাষাবাদে খরচও কম লাগে। এক বিঘা জমিতে এ সবজি চাষ করতে খরচ মাত্র ৬/৭ হাজার টাকা লাগে। তুঁতজমিতে ও আমবাগান কেটে বেশিমাত্রায় এ চাষে ঝুঁকে পড়েন। ফলে বেশি আয় জানাচ্ছেন চাষিরা।
তাঁতীপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল কাদির বলেন, নিয়মানুযায়ী যেসব চাষি মিষ্টি কুমড়া আবাদ করেছে, তাদের আশানুরূপ ফলন ভাল হয়েছে।
উপজেলার গোহালবাড়ী গ্রামের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার চাঁন মোহাম্মাদ বলেন, যদি পরিকল্পিতভাবে কৃষকরা মিষ্টি কুমড়া আবাদ করে, তাহলে কোনদিনই কৃষক ঠকবে না। আবাদকৃত ফলন বৃদ্ধি পাবে ও লাভবান হবে।
তিনি আরও বলেন, কৃষকরা প্রতি বিঘাতে প্রায় ৪০/৫০ মন মিষ্টি কুমড়া বরই বা কুলের জমিতে আবাদ করে এ ফলন পাচ্ছে। আর যারা খোলামেলা জমিতে আবাদ করে প্রায় ৬০/৭০ মন বিঘা প্রতি মিষ্টি কুমড়া পাচ্ছে।
ভোলাহাট উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সুলতান আহমেদ বলেন, আবহাওয়া অনুকুল ও খরচ কম হওয়ায় মিষ্টি কুমড়া চাষে কৃষকদের আগ্রহ ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সব সময় কৃষকের সাথে আছি। এই চাষে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।