নিজস্ব প্রতিবেদক:রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডে এক মুমূর্ষ রোগীর ছেলেকে রুমে ডেকে নিয়ে আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে এক ইন্টার্ন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রোগীর ছেলেকে সকাল ১১ টায় ওই ওয়ার্ডের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের রুমে ডেকে এনে আটকে রেখে বেধড়ক পেটানো হয় সুমন পারভেজ রিপন নামের ওই যুবককে। ওই ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানানো হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২ ফেব্রুয়ারি বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে নগরীর বোয়ালিয়া বোসপাড়া এলাকার বাসিন্দা মোসা. পিয়ারা বেগম (৬০) নামের এক নারী ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি হন। ঘটনার দিন বেলা ১০ টার দিকে ওই রোগীকে নিয়ে ক্লাস নিচ্ছিলেন এক অধ্যাপক। দীর্ঘ সময় ধরে ওই রোগীকে ঘিরে ক্লাস নেয়ায় বিরক্ত হন রোগীর ছেলে সুমন পারভেজ রিপন। এসময় রোগীর সমস্যা হচেছ জানিয়ে জটলা কমাতে বলেন। এ নিয়ে এক ইন্টার্ন চিকিৎসকের সঙ্গে তর্ক-বির্তক হয়।
এরপর রিপোর্ট নিয়ে ইন্টার্ন ডাক্তারদের রুমে রোগীর ছেলে সুমন পারভেজ রিপনকে ডাকা হয়। এরপর দরজা লাগিয়ে দিয়ে ৬-৭ জন ইন্টার্ন চিকিৎসক বেধড়ক পেটান ওই যুবককে। বিষয়টি টের পেয়ে হাসপাতাল প্রশাসনসহ আনসার সদস্যদের ডাকেন অন্য রোগীর স্বজনসহ ওই ওয়ার্ডে দায়িত্বপালনকারী নার্সরা। পরবর্তীতে আনসার সদস্যদের উপস্থিতিতেই আরেক দফা পেটানো হয় ওই যুবককে।
রাজশাহী মেডিকেলে কলেজ (রামেক) হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল শামীম আহমেদ বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগীর সঙ্গে কথা বলেছি। ওয়ার্ডও পরিদর্শন করেছি। ভুক্তভোগীকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবো।