মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১১ চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
সোনার দেশ ডেস্ক
পূর্ব লন্ডন গঠনে বাংলাদেশিদের অবদানকে স্বীকৃতি দিতে সেখানকার একটি টিউব স্টেশনে বসানো হয়েছিল বাংলা লেখা নামফলক। সে বছর তিনেক আগেকার কথা। হোয়াইটচ্যাপেল স্টেশনের নাম লেখা দুটি ভাষায় – বাংলা ও ইংরাজিতে। আর তা নিয়েই সম্প্রতি আপত্তি তুলে বিতর্কে জড়িয়েছেন ব্রিটিশ এমপি রুপার্ট লোয়ি।
এক্স হ্যান্ডলে তাঁর বক্তব্য, এটা লন্ডন, এখানে স্টেশনের নাম শুধু ইংরাজি, একমাত্র ইংরাজিতেই লেখা থাকবে। এবার লোয়ির বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে বিতর্ক আরও উসকে দিলেন ‘টেক গুরু’ এলন মাস্ক। লোয়ির পোস্টের নিচে তিনি লিখেছেন ছোট্ট শব্দ – ণবং. তবে তার অর্থ যে আসলে কত বৃহৎ, তা বোঝাই যাচ্ছে। এনিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়ে গিয়েছে।
এলন মাস্ক মানেই যত বিতর্ক। নিজের কাজকর্ম তো বটেই, টেসলার কর্তার আশপাশের পরিমণ্ডলেও একাধিক বিতর্ক জন্ম নেয় মাঝেমধ্যে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর বড় প্রিয় মানুষ। তাই তার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে মাস্কের অভিবাদনের ভঙ্গিমা উসকে দিয়েছিল নাজি জমানাকে। তা নিয়েও যথেষ্ট শোরগোল হয়েছে। এবার সেই বিতর্কের তালিকায় সংযোজিত হল মাস্কের বাংলা বিরোধিতা। লন্ডনের মতো শহরে কেন বাংলায় লেখা? পরোক্ষে এই প্রশ্নও তুলে দিয়েছেন টেক জায়ান্ট।
হোয়াইটচ্যাপেল স্টেশনে বাংলার নামফলক নিয়ে দিন কয়েক আগে ব্রিটেনে গ্রেট এয়ারমাউথের এমপি রুপার্ট লোয়ি এক্স হ্যান্ডলে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন। লিখেছিলেন, ”এটা লন্ডন, এখানে শুধু ইংরাজিতেই লেখা থাকা উচিত।” এই পোস্টের নিচে অনেকে নানারকম তর্ক-বিতর্কে জড়িয়েছেন। আর মাস্ক শুধু লিখেছেন – ‘ইয়েস’। তাতেই মোটের উপর স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে তাঁর মনোভাব।
পূর্ব লন্ডনের হোয়াইটচ্যাপেল এলাকায় মূলত বাংলাদেশিদের বসবাস। ব্রিটিশ-বাংলাদেশিরা সেখানে কলোনি গড়ে তুলেছেন। আর তাঁদের সম্মানার্থেই ২০২২ সালে এই স্টেশনের নামে বাংলায় লেখা হয়। নীলের উপর সাদায় লেখা – হোয়াইটচ্যাপেল স্টেশন। লন্ডন বেড়াতে গিয়ে তা দেখে খুব খুশি হয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিও সোশাল মিডিয়ায় এর প্রশংসা করেছিলেন।
অথচ রুপার্ট লোয়ি বা এলন মাস্ক সেই সুমধুর বাংলা ভাষা নিয়েই আপত্তি তুললেন! রুপার্ট লোয়ির বিরোধিতার চেয়েও মাস্কের সমর্থন বিষয়টি নিয়ে বিতর্কের আঁচ আরও উসকে উঠল বলেই মনে করছেন।
তথ্যসূত্র: সংবাদ প্রতিদিন অনলাইন