লালপুরে ‘তোহা বাজার’ দখলের মহাউৎসব, বিপাকে কৃষক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা

আপডেট: জানুয়ারি ১৬, ২০২৫, ৮:২৭ অপরাহ্ণ

লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি:


নাটোরের লালপুর সদর বাজারে ‘তোহা বাজার’ নামে পরিচিত কৃষক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের অস্থায়ী ভাবে বসার জন্য সংরক্ষিত খালি জায়গায় নিয়মবহির্ভূত ভাবে পাঁকা দোকান ঘর নির্মাণ করে অবৈধ দখলের মহাউৎসব চলছে। এতে উৎপাদিত কৃষি পণ্য বিক্রির করতে হাটে বসার জায়গা না পেয়ে বিপাকে পড়েছে কৃষক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসায়ীরা বলছেন, কাঁচা ও মাছ বাজারের জন্য সরকারি ভাবে জায়গা নির্ধারণ থাকলেও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা জায়গা না পেয়ে বাধ্য হয়ে লালপুর-গোপালপুর সড়কে ফুটপাত দখল করে বাজার বসাচ্ছেন। এতে সড়কে যানজট সৃষ্টি হয়ে ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ।

সরেজমিনে জানা যায়, প্রভাবখাটিয়ে তোহা বাজারের সরকারি জায়গায় ইট-বালি দিয়ে জামিরুল ইসলাম ও নজরুল ইসলাম ও মাহাবুল ইসলাম নামে তিন ব্যবসায়ীর ৩ টি পাঁকা দোকানঘর নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে।

এছাড়া বিগত সময়ে আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় তৎকালীন বাজারের ইজারাদারকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে হাটের জায়গা দখল করে ৫ টি পাঁকা দোকান নির্মাণ করছে বাজারের মুদি ব্যবসায়ী শ্রী আনন্দ কুমার, শ্রী গিরি কুমার ও কসমেটিক ব্যবসায়ী শ্রী লিটন কুমার দাস, পল্লী চিকিৎসক অসীম কুমার ও কাঁচামাল ব্যবসায়ী মিজান আলী। এতে হাটের খোলা জায়গায় কমে যাওয়ায় কৃষক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বাধ্য হয়ে সড়কের ফুটপাতে বাজার বসাচ্ছেন।

এবিষয়ে বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাজদার হোসেন, সবজি বিক্রেতা রানা আলী, মাছ ব্যবসায়ী আসাদুল বলেন, প্রভাবশালীরা তোহা বাজারের দোকান নিমার্ণ করায় ফাঁকা জায়গা কমে যাচ্ছে । এতে বাজারে জায়গা না পেয়ে কিছু সবজি ও মাছ ব্যবসায়ীরা পেটের দায়ে লালপুর মোড়ে ফুটপাতে বাজার বসাচ্ছেন। এভাবে চলতে থাকলে আমারদেরও মোড়ে যেতে হবে। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হলে বাজারের পূর্বের জৌলুশ ফিরে পাবে।

এবিষয়ে অবৈধ দখলে নেওয়া ব্যবসায়ী শ্রী আনন্দ কুমার বলেন, ফাঁকায় জায়গায় আওয়ামী লীগ নেতা আওলাদ দোকান নির্মাণ করেন। পরে গত ৪ বছর আগে তৎকালীন ইজারাদার ও জিল্লুকে দেড় লাখ টাকা দিয়ে দোকান কিনেছি। তবে আমাকে কোন কাগজপত্র দেয়নি।

মিজানুর রহমান বলেন, অন্যরা তোহা বাজারে দোকান নিমার্ণ করেছে, দেখাদেখি আমিও করেছি। সবাই দোকান ছেড়ে দিলে আমিও দিব।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহেদী হাসান বলেন, খবর পেয়ে দোকান নিমার্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷ দ্রুত সময়ের মধ্যে তোয়া বাজারের সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে দেওয়া হবে।