লালপুর ভূমি জরিপ সিন্ডিকেটে জিম্মি জমির মালিকরা

আপডেট: সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৪, ৮:৪৫ অপরাহ্ণ

লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি:


নাটোরের লালপুরে বিডিএস ভূমি জরিপে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির মহোৎসব চলছে। জরিপ কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন জমির মালিককে জিম্মি করে কৌশলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে জরিপ কাজে নিয়োজিত সংশ্লিষ্টরা। আর টাকার বিনিময়ে একজনের জমি অন্যজনের নামে রেকর্ড করায় বিজ্ঞ আদালতে মামলাসহ নানান জটিলতায় পড়ছে প্রকৃত জমির মালিকরা।

এর আগে, গত ২২ আগষ্ট জরিপ বন্ধে জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন এলাকাবাসী। দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের অপসারণসহ জরিপ কার্যক্রম বন্ধ করে আরএস রেকর্ড বলবৎ বা পূনরায় সঠিকভাবে বিডিএস জরিপ করার দাবি জানান এলাকাবাসী।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি উপজেলার ১৪৪ নম্বর নুরুল্লাপুর মৌজায় শুরু করা হয় বিডিএস জরিপের কার্যক্রম। কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে জরিপের দায়িত্বে থাকা তদন্তকারী কর্মকর্তা অনন্ত কুমার মুকুল মনী ও তার অন্যন্য সহযোগীরা জমির মালিকদের কাছ থেকে অনিয়ম ও দূর্নীতির মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছে খতিয়ান প্রতি ৫/৬ হাজার টাকা। মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে একজনের জমি অন্য জনের নামে খতিয়ান সৃজন করে দিয়ে আত্মীয়-স্বজন,পাড়া-প্রতিবেশী এমনকি নিজের ভাই-বোনের মধ্যেও দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে দিচ্ছে। যার কারণে বিজ্ঞ আদালতে মামলাসহ নানান সমস্যায় পড়তে পারে প্রকৃত জমির মালিকরা। স্থানীয় কিছু দালাল চক্রের মাধ্যমে সংশ্লিষ্টরা খতিয়ান সৃজনের নামে লুটপাট চালাচ্ছে বলে অভিযোগ জমির মালিকদের।

এমনি একজন ভুক্তভোগী মিজানুর রহমান। তাঁর জমি ২৫ শতাংশ, বিডিএস ভূমি জরিপে ১৮ শতাংশ করা হয়েছে। সেটেলমেন্ট অফিসের কর্তারা প্রতিটি জমি কম ধরে ম্যাপ করা হয়েছে। একই সঙ্গে টাকা ছাড়া কারও জমি রেকর্ড করা হচ্ছে না। একই অভিযোগ মুজদার রহমানের। তাঁর ১২ শতাংশ জমি রেকর্ড করতে ৬ হাজার টাকা দাবি করা হয়। টাকা না দেওয়ায় কাজ বন্ধ রাখা হয়। পরে বাধ্য হয়ে দালাল আবু জাফরের মাধ্যমে রেকর্ড করতে আসা আবদুল মজিদকে ৫ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে রেকর্ড করে নিয়েছেন।

এবিষয়ে জানতে অভিযুক্ত তদন্তকারী কর্মকর্তা অনন্ত কুমার মুকুল মনীকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
এবিষয়ে দিয়ারা সেটেলমেন্ট অফিস রাজশাহী সার্কেল অফিসার মো. আতিয়ার রহমান বলেন, জরিপ কাজের জন্য কেউ টাকা নিতে পারবে না। কেউ অবৈধভাবে টাকা আদায় বা ঘুষ চাইলে বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ