লাল চোখ থেকে সাবধান, কাছে গেলেই হবে বিরাট ক্ষতি, কারণ….

আপডেট: মে ৩১, ২০২৫, ৮:৪৮ অপরাহ্ণ

সোনার দেশ ডেস্ক:


ঘরের চারদিকে আমরা তো অনেক ধরণের মাকড়শা দেখতে পাই। সেখানে একেবারে ছোটো থেকে শুরু করে একটু বড় মাকড়শা থাকে। এদের প্রধান কাজ হল ঘরের বিভিন্ন আনাচে কানাচে জাল বুনে চলা। এরপর সেখানে যে পোকা ধরা পড়বে তাকে খেয়ে নিজের উদর ভর্তি করা। তবে এবার নতুন ধরণের মাকড়শার প্রজাতি সকলকে অবাক করে দিল।

জার্মানির একটি গবেষণাগারে বিজ্ঞানীরা নতুন ধরণের মাকড়শা তৈরি করেছেন। তারা মাকড়শার দেহে নতুন ধরণের জিনের প্রবেশ করিয়েছেন। এরপর দেখা গিয়েছে এই মাকড়শাটি আকারে খানিকটা বড় হয়ে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, মাকড়শাটি যখন তার মুখের লালা দিয়ে জাল তৈরি করছে তখন সেই জালের সুতোয় লাল রঙের উজ্জ্বল সিল্ক তৈরি হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে আরও গবেষণা করতে চান বিজ্ঞানীরা। তারা প্রাথমিকভাবে বেশ কয়েকটি মাকড়শার দেহে নতুন এই পরীক্ষা করিয়েছেন। তাদের জিনকে পরিবর্তন করিয়ে তারা দেখেছেন প্রায় একই ধরণের ফল সামনে এসেছে। এরফলে নতুন দিক সামনে চলে এসেছে। এতদিন ধরে লাল সিল্ক যেভাবে তৈরি করা হত সেখান থেকে এবার অনেকটাই সরে গিয়ে নতুন ধারণা তৈরি হবে।

মাকড়শার মুখের যে জাল থেকে লাল সিল্ক তৈরি হয়েছে তার মান বেশ ভাল বলেই খবর মিলেছে। ছোট্ট এই প্রাণীর কাজটি অতি যত্ন সহকারে তুলে নিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তারা মনে করছেন যদি এই পরীক্ষাটি তারা সফল করতে পারেন তাহলে আগামীদিনে তারা জিনগত এমন পরীক্ষা আরও করবেন।

নতুন এই জিন পরিবর্তনের ফলে মাকড়শাটির গতি বেড়েছে। তার দেহে অতিরিক্ত শক্তি তৈরি হয়েছে। সে তার প্রজাতির অন্য মাকড়শাদের তুলনায় অনেকটাই শক্তিশালী হয়েছে। সবথেকে অবাক করা ঘটনাটি হল এই মাকড়শাটির চোখের রং পরিবর্তন হয়েছে সেটি লাল হয়েছে। সাধারণভাবে মাকড়শাদের চোখের রং কালো হয়ে থাকে। তবে এখানেও তার জিনের প্রভাব পড়েছে।
তথ্যসূত্র: আজকাল অনলাইন

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

Exit mobile version