রবিবার, ১৩ জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ২৯ আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক:
লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ তিনজন আহত হয়েছে। রোববার (১৫ জুন) দুপুর ২টার দিকে পবা উপজেলার মুসলেমের মোড়ে এই ঘটনা ঘটে। এতে অ্যাম্বুলেন্স চালকসহ তিনজন আহত হয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নাটোরের এক নারী স্ট্রোক করলে শনিবার (১৪ জুন) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়। পরে রোববার বেলা ১১টার দিকে তাকে ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করার পরই মারা যান। এরপর তার মরদেহ নিয়ে পরিবার পরিজন নাটোরের উদ্দেশে অ্যাম্বুলেন্সে করে যাত্রা করেন। পবা মোসলেমের মোড়ে আসার পর অ্যাম্বুলেন্সটি অন্য লেনে চলে গিয়ে ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অ্যাম্বুলেন্সের সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে গেছে। এ ঘটনায় ওই মৃত নারী স্বজনসহ অ্যাম্বুলেন্স চালক আহত হয়েছেন।
মৃত নারীর ভাই মো. সান্টু বলেন, তার বোনের নাম জরিনা বেগম (৩৬)। তাদের বাড়ি নাটোরের লালপুর উপজেলার মিল্কিপাড়া গ্রামে। তাঁর বোন হঠাৎ গতকাল অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি স্ট্রোক করেছিলেন। পরে গতকাল রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করান। আজকে সেখান থেকে আরেকটি হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান। পরে অ্যাম্বুলেন্সে করে বাড়ি ফিরছিলেন।
তিনি আরও বলেন, অ্যাম্বুলেন্স চালক গাড়িতে উঠার পরই ফোনে কথা বলছিলেন। তিনি নিজেই তাকে বলছিলেন ট্রাক আসছে ট্রাক আসছে। কিন্তু চালক শুধু গাড়ির গতি কমাতে পেরেছিলেন। ট্রাকেরও গতি কম ছিল। যদি দুই গাড়ির গতি থাকতো। আজকে তাদের সবাইকে লাশ হয়ে ফিরতে হতো। তিনি, তার বোন জামাই, ভাগ্নে-ভাগ্নি আহত হয়েছেন। লাশ বাড়িতে নিয়ে তারা চিকিৎসা নিবেন।
এ ঘটনায় ট্রাক চালক তরিকুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টি হওয়ার কারণে কম গতি নিয়ে তিনি তার রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। অ্যাম্বুলেন্স তার লেনে দেখে তিনি গাড়ি ব্রেক করে থামিয়ে দেন। গাড়িটি না থামালে আজকে আরও বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতো।
এই ঘটনার পর কাটাখালী থানা পুলিশ দুমড়েমুচড়ে যাওয়া অ্যাম্বুলেন্সটি সরানোর চেষ্টা করছিলেন। সাব-ইন্সপেক্টর আ. রাজ্জাক বলেন, এ ঘটনায় আহত অ্যাম্বুলেন্স চালককে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। লাশবাহী গাড়ির লোকজন চলে গেছেন। তারা সামান্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দুই গাড়িই জব্দ করেছেন তারা।