লাশের গন্ধে ভারী লিবিয়ার আকাশ, দেয়া হচ্ছে গণকবর

আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৩, ১২:৩৪ অপরাহ্ণ


সোনার দেশ ডেস্ক :


ঘরবাড়ির ধ্বংসস্তূপ, কাদাপানি, রাস্তাঘাটে পড়ে রয়েছে লাশ আর লাশ। এমনকী সমুদ্রেও ভাসতে দেখা যাচ্ছে মরদেহ। ঘূর্ণিঝড় ‘ড্যানিয়েল’ ও বন্যাবিধ্বস্ত লিবিয়ার দেরনা শহরের এখন এটাই প্রকৃত চিত্র।

লাশের গন্ধ ও স্বজন হারানো পরিবারের সদস্যদের আর্তনাদ মিশছে বাতাসে। গণকবর দেয়া হচ্ছে মরদেহ। পরিচয়ের অপেক্ষায় হাসপাতালে পড়ে আছে অনেক লাশ। মৃতের সংখ্যা আড়াই হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে। তা আরও বাড়তে পারে বলেও অনুমান করা হচ্ছে। অন্য একটি সূত্রের দাবি, মৃতের সংখ্যা অন্তত তিন হাজার হবে। নিখোঁজ রয়েছে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ।

৪ সেপ্টেম্বর গ্রিসের উপকূলে ভূমধ্যসাগরের ওপর তৈরি হয়েছিল ঝড় ‘ড্যানিয়েল’। এর ফলে ৫ ও ৬ সেপ্টেম্বর গ্রিসে রেকর্ড বৃষ্টিপাত হয়। গ্রিসের জাগোরা গ্রামের একটি অংশে ২৪ ঘণ্টায় ৭৫০ মি.মি. বৃষ্টিপাত হয়, যা প্রায় ১৮ মাসের বৃষ্টিপাতের সমতুল্য।

থেসালি, মধ্য গ্রিসের অনেক অংশে ২৪ ঘণ্টায় ৪শো থেকে ৬শো মি.মি. বৃষ্টিপাত হয়। প্রবল বৃষ্টিতে গ্রিসে ১৫ জনের মৃত্যু হয়। ‘ড্যানিয়েল’ ক্রমে শক্তি সঞ্চয় করে লিবিয়ার দিকে অগ্রসর হয় এবং ক্রমে ‘মেডিকেন’ (মেডিটেরানিয়ান হারিকেন)-এ পরিণত হয়। ‘মেডিকেন’-এ গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় ও মধ্য-অক্ষাংশের ঝড়ের কিছু বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত যায়। এই ঝড় সাধারণত সেপ্টেম্বর ও জানুয়ারির মধ্যে সংঘটিত হয়।

লিবিয়ার জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র জানিয়েছে, ১০ সেপ্টেম্বর তিব্রতর হয় ‘ড্যানিয়েল’। এর প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে ১৫০ থেকে ২৪০ মি.মি. বৃষ্টি হয়। ফলে সৃষ্টি হয় ভয়াবহ বন্যা। সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে লিবিয়ার আল-বায়দাতে। সেখানে ১০ ও ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ২৪ ঘণ্টায় ৪শো মি.মি.রে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে।
তথ্যসূত্র: জাগোনিউজ