লাশ নিয়ে রাজনীতি নয়, বিচার চায় বাবুলের পরিবার

আপডেট: জুলাই ২, ২০২৪, ১১:৪৩ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:


আওয়ামী লীগের দুইপক্ষের সংঘর্ষে নিহত দলটির রাজশাহীর বাঘা উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুলের পরিবার তার লাশ নিয়ে অপরাজনীতি চায় না। নিহত বাবুলের স্ত্রী জরিনা বেগম বেবি বলেছেন, তার স্বামীর লাশ নিয়ে অপরাজনীতি হোক, সেটা তিনি চান না। তিনি স্বামী হত্যার বিচার চান। প্রকৃত খুনিদের ফাঁসি দেখতে চান তিনি।
লাশ নিয়ে কেমন রাজনীতি
আহত হওয়ার চারদিন পর গত ২৬ জুন হাসপাতালে মারা যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল। পরদিন জানাজা নামাজে বাবুলের লাশ সামনে রেখে স্থানীয় এমপি শাহরিয়ার আলম বলেন, এ হত্যাকা-ের পেছনে মদদদাতা আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও রাজশাহী সিটির মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও রাজশাহী-৩ আসনের এমপি আসাদুজ্জামান আসাদ। তিনি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করার ঘোষণা দেন। ওই জানাজা থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অনিল কুমার সরকারকে বের করে দেওয়া হয়। জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলির ডালা নিয়ে গেলেও তাঁকে সেটা বাবুলের মরদেহে দিতে দেওয়া হয়নি।

শাহরিয়ারের ওই বক্তব্যের পর মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন সাংবাদিকদের বলেন, ‘এসব ঘটনায় আমার সম্পৃক্ত হওয়ার কোন কারণ নেই, সুযোগও নেই। মনে হচ্ছে রাজনীতি করতে শাহরিয়ারের একটা লাশের প্রয়োজন ছিল।’ সংঘর্ষের সময় সবাই বাবুলকে কেন একা ফেলেন গেলেন এবং কেন এমপি শাহরিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নিলেন না সে প্রশ্ন তুলে লিটন অনুসারীরা কর্মসূচি পালন করেছেন। তারাও বাবুল খুনের বিচার চেয়ে এমপি শাহরিয়ারকে রাজশাহী শহরে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন। পাশাপাশি লিটন-আসাদকে জড়িয়ে দেওয়া বক্তব্য প্রমাণ করতে শাহরিয়ারকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন। এর পর থেকে এমপি শাহরিয়ার চুপ।

দলীয় নেতাকর্মীরা জানান, জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আগে থেকেই দুই ধারায় বিভক্ত। জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বাঘা পৌর মেয়র আক্কাস আলী, যুগ্ম সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান লায়েব উদ্দিন লাভলু ও জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাঘার পাকুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলাম মেয়র লিটন ও এমপি আসাদের অনুসারি হিসেবে পরিচিত। বাবুল খুনের দিন দুপক্ষের সংঘর্ষের সময় মেয়র আক্কাস ও ইউপি চেয়ারম্যান মেরাজুল উপস্থিত ছিলেন। সেই কারণে এ হত্যাকা-ের সঙ্গে লিটন-আসাদকে জড়িয়েছেন শাহরিয়ার।

তবে বাবুলের লাশ নিয়ে রাজনীতি চান না নিহত বাবুলের পরিবার। এসব দলাদলির কারণে বাবুলের প্রকৃত খুনিরা আড়ালে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের। বাঘার গাওপাড়ায় বাবার বাড়িতে বসে বাবুলের স্ত্রী জরিনা বেগম বেবী বলেন, লিটন ভাই ও আসাদ ভাইয়ের সঙ্গে কোন ধরনের দ্বন্দ্ব ছিল না। একসময় আমার স্বামী তাদের সঙ্গেই রাজনীতি করতেন। সবার সঙ্গেই আমাদের ভাল সম্পর্ক ছিল। তাদের সঙ্গে আমাদের বিরোধ ছিল না।
নিহত বাবুলের ছেলে আশিক জাবেদ বলেন, লিটন-আসাদ ইস্যুতে এখন আলোচনা ভিন্নদিকে। এতে আমার বাবার প্রকৃত খুনিরা আড়ালে চলে যেতে পারে। আমরা এ বর্বর হত্যার বিচার চাই।

নেপথ্যে দলিল লেখক সমিতি
একপক্ষের মানববন্ধন, অন্যপক্ষের বিক্ষোভ। আগের রাতেই দুপক্ষের লোকজন নিজ নিজ কর্মসূচির ব্যানার ফেসবুকে পোস্ট করতে থাকেন। একইস্থানে দুপক্ষের এমন কর্মসূচি থেকে সংঘর্ষের আশঙ্কায় স্থানীয় প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করতে চেয়েছিল। কিন্তু ‘রাজনৈতিক চাপে’ তা সম্ভব হয়নি। ফলে দুপক্ষ মুখোমুখি হয়ে জড়ান রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে। গত ২২ জুনের এ সংঘর্ষে প্রাণ যায় বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুলের।

এছাড়া দুপক্ষের আহত হন অর্ধশতাধিক। এ সংঘর্ষের নেপথ্যের কারণ উপজেলা দলিল লেখক সমিতির অতিরিক্ত টাকা আদায়। ২০১৯ সাল থেকে রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহরিয়ার আলম দলিল লেখক সমিতির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ঠিক করে দিচ্ছেন। এ কমিটির নেতারা দলিল লেখার সময় ক্রেতাদের কাছ থেকে লেখকদের অতিরিক্ত টাকা নিতে বাধ্য করে। গত ৯ জুন এমপি শাহরিয়ার আলম দলিল লেখক সমিতির নতুন সভাপতি হিসেবে উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি শাহিনুর রহমান পিন্টু ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পাকুড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শামিউল আলম নয়নের নাম লিখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) মোবাইলে খুদেবার্তা দেন।

পরদিন পিন্টু ও নয়ন দায়িত্ব নিতে গেলে দলিল লেখকদের একাংশের বিরোধিতার মুখে পড়েন। সেদিন দলিল লেখকদের সংঘর্ষে দুপক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন। বাঘার ২২ জুনের সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় সেদিনই। সরেজমিনে দলিল লেখক, স্থানীয় বাসিন্দা, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

ইউএনও তরিকুল ইসলাম বলেন, উনি (এমপি) ৯ জুন দলিল লেখক সমিতির সভাপতি-সম্পাদকের নাম মেনশন করে টেক্সট করেছিলেন। আমার কাছে অনেকেই অনেক কিছু পাঠাতেই পারেন।
দলিল লেখক সমিতির সভাপতি শাহিনুর রহমান পিন্টু বলেন, জমির যে দাম হয়, সে দামের প্রতি এক লাখের জন্য আমরা ক্রেতার কাছ থেকে চার হাজার টাকা করে অতিরিক্ত নিয়ে থাকি। এটা সমিতির উন্নয়নের জন্য। সারাদেশেই এটার প্রচলন আছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, পৌর মেয়র আক্কাস আলী, উপজেলা চেয়ারম্যান লায়েব উদ্দিন লাভলু ও ইউপি চেয়ারম্যান মেরাজুল ইসলামসহ তাদের অনুসারিরা দলিল লেখক সমিতির এই চাঁদাবাজির বিরোধিতা করে আসছিলেন। জনপ্রতিনিধি হিসেবে তারা প্রশাসনের বিভিন্ন সভায় তা তুলেছেন। চাঁদাবাজি বন্ধের জন্য লিখিতভাবে আবেদনও করেন। নতুন কমিটির বিরোধিতা নিয়ে ১০ জুন দলিল লেখকদের দুপক্ষের সংঘর্ষের পর ২০ জুন একাংশ মানববন্ধন করে।

মেয়র আক্কাস, উপজেলা চেয়ারম্যান লায়েব ও ইউপি চেয়ারম্যান মেরাজ এতে অংশ নিয়ে বক্তব্য দেন। পরে ২২ জুন দলিল লেখক সমিতির দৌরাত্ম বন্ধের দাবিতে তারা বিক্ষোভ মিছিল করার ঘোষণা দেন। পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে একই দিন মেয়র আক্কাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে মানববন্ধনের ডাক দেয় উপজেলা আওয়ামী লীগ। চাপে পড়ে এ মানববন্ধনে অংশ নেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল।

হামলাকারীকে দেখলে চিনতে পারতেন বাবুল
উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটকের সামনে মেয়রের বিরুদ্ধে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়েছিল। অংশগ্রহণকারীদের অনেকেই হেলমেট পরে ছিলেন। বস্তায় করে তারা ইটপাটকেল ও লাঠিশোটা এনেছিলেন। মেয়র আক্কাসসহ তার অনুসারিরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সামনে এলে উপজেলা চত্বরের ভেতর থেকে তাদের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। পাল্টা জবাব দিয়ে মিছিলটি সামনে এগিয়ে আসতে থাকে। তারা উপজেলা চত্বরের সামনে এলে মানববন্ধনের লোকজন ভেতরে ঢুকে যায়। প্রধান ফটক দিয়ে সোজা রাস্তা দিয়ে ঢুকলেই হাতের বাঁয়ে মৎস্য অফিস, এরপর ইউএনওর কার্যালয়। ইউএনওর কার্যালয়ের পর অব্যবহৃত নতুন উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন। এর সামনের ফাঁকা স্থানটিতেই আহত অবস্থায় পড়ে ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল।

নিহত বাবুলের স্ত্রী জরিনা বেগম জানান, আহত হওয়ার পরদিন বাবুলের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছিল। তখন তিনি হামলাকারীর সম্পর্কে জানতে স্বামীকে প্রশ্ন করেছিলেন। বাবুল তাকে জানিয়েছিলেন, হামলাকারীকে তিনি চেনেন না। তবে তাকে দেখলে চিনতে পারবেন।
মামলার বাদী ও দলিল লেখক সমিতির সভাপতি পিন্টু বলেন, আক্কাসের লোকজনের হামলায় আমরা উপজেলার ভেতরে ঢুকে কেউ ইউএনওর বাসভবনের সামনে আবার কেউ প্রাচীর টপকে থানায় গিয়ে আশ্রয় নিই। বাবুলের ধারণা ছিল তাকে কেউ মারবে না, কিন্তু মেরেছে। আমরা সরাসরি কোপাতে দেখিনি। তবে হামলাকারীরা যখন বেরিয়ে যাচ্ছিল, তখন তাদের দেখেছি।

একই কথা বললেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াহিদ সাদিক কবির। তিনি বলেন, গেটের সামনে কারা যেন একটা ককটেল মারে। ফলে গেট থেকে পুলিশ একটু দূরে সরে যায়। এরপর হামলাকারীরা ভেতরে ঢুকে বাবুলকে কোপায়। আমরা প্রাচীর টপকে থানায় আশ্রয় নিয়েছিলাম। পরে ওসি আমাকে ফোন করে বলেন যে, বাবুল পড়ে আছেন। তখন আমরা এসে একটা মোটরসাইকেলে তুলে বাবুলকে হাসপাতালে নিয়ে যাই।

উপজেলা চত্বরে ঘটনাস্থল কাভার করবে এমন সিসি ক্যামেরা আছে। তবে ইউএনও জানিয়েছেন, সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক পূর্ণ হয়ে গেছে। ১ মে থেকে ভিডিও রেকর্ড থাকে না। শুধু মনিটরে দেখা যায়। তবে একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ইতোমধ্যে বের হয়েছে। তাতে বাবুলকে কোপাতে দেখা গেছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ১ নম্বর আসামি মেয়র আক্কাস আলী ও ২ নম্বর আসামি ইউপি চেয়ারম্যান মেরাজুল তাদের হাতে থাকা চাইনিজ কুড়াল দিয়ে বাবুলকে কুপিয়েছেন। এ ঘটনায় মেয়রের সম্পৃক্ততা তদন্ত করছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।

পুলিশ-প্রশাসনকে দুষছেন সবাই
বাবুলের মৃত্যুর জন্য এখন পুলিশ-প্রশাসনকেই দুষছেন সবাই। উপজেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি শাহিনুর রহমান পিন্টু বলেন, কর্মসূচির ব্যাপারে পুলিশকে আমরা অবহিত করেছিলাম। পুলিশ বলেছিল, পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়া হবে। কিন্তু পুলিশ ব্যর্থ হয়েছে। নিহত বাবুলের ছেলে আশিক জাভেদ বলেন, পুলিশের ব্যর্থতার কারণে আমার বাবার প্রাণ গেছে।

মেয়র আক্কাসপক্ষের এক আওয়ামী লীগ নেতা নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দেখে সংঘাতের আশঙ্কায় তিনি ১৪৪ ধারা দিতে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে ফোন করেছিলেন। ১৪৪ ধারা না দিয়ে তাকে বলা হয়েছিল, পর্যাপ্ত পুলিশ থাকবে। কিন্তু জেলা থেকে পুলিশ আনা হয়েছিল মাত্র ৩০ জন। এই পুলিশ পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারেনি।

জানতে চাইলে রাজশাহীর পুলিশ সুপার (এসপি) সাইফুর রহমান বলেন, পুলিশের যথেষ্ট তৎপরতা ছিল। একটা থানার যত পুলিশ সদস্য, সবাই মাঠে ছিলেন। জেলা থেকে পর্যাপ্ত পুলিশ পাঠিয়েছি। থানার ওসি দুইপক্ষের মাঝে দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। এখন অনেকেই অনেক কথা বলতে পারে। তিনি বলেন, দুইপক্ষ দুইটা মামলা করেছে। মামলাগুলো তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ১৪৪ ধারা কেন দেওয়া হয়নি তা প্রশাসন বলতে পারবে বলে মন্তব্য করেন এসপি।

তবে জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেছেন, পুলিশ যদি লিখিতভাবে আমাদের সংঘাতের আশঙ্কার কথা জানায়, তখন ১৪৪ ধারা দেওয়া হয়। বাঘার ঘটনায় পুলিশ এ রকম কিছু দেয়নি।
আর উপজেলা প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেছেন, দুপক্ষের মুখোমুখি কর্মসূচি দেখে উপজেলা প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করতে চেয়েছিল। কিন্তু একটি পক্ষের রাজনৈতিক চাপের কারণে ১৪৪ ধারা দেওয়া যায়নি।

ইউএনও তরিকুল ইসলাম বলেন, আমরা টাইম টু টাইম ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে সব জানিয়েছি। ১৪৪ ধারা না দিলেও আমরা পুলিশ প্রস্তুত রেখেছিলাম। থানার পাশাপাশি জেলা পুলিশ লাইন্স থেকে আগের রাতেই অতিরিক্ত ৩০ জন পুলিশ সদস্য আনা হয়েছিল।
সার্বিক বিষয়ে কথা বলতে এমপি শাহরিয়ার আলমকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। পরে প্রশ্ন জানিয়ে হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠানো হয়। শাহরিয়ার আলম হোয়াটসঅ্যাপের এ বার্তা দেখেছেন। কিন্তু তিনি কোন জবাব দেননি। তাই তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Exit mobile version