বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ১৩ আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ।
রাবি প্রতিবেদক
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী মোতালেব হোসেন লিপু হত্যার এক মাস পেরিয়ে গেলেও তদন্তে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয় নি। রুমমেটকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও হত্যার কারণও উদ্ঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। তদন্তে ধীরগতিতে ক্ষোভ প্রকাশ করে শিক্ষার্থীর। গতকাল শনিবার লিপু হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবিতে বিক্ষোভ-মিছিল ও মানববন্ধন করেছে বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
গতকাল বেলা সাড়ে ১১টায় লিপু হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার দাবিতে বিভাগের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এসে মানববন্ধনে করে তারা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনে যোগ দেয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পুলিশের পক্ষ থেকে আমাদের বারবার জানানো হয়েছে লিপুর রুমমেট গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। এমনকি তার দেওয়া তথ্যে হত্যা রহস্য উদঘাটন সম্ভব বলেও জানানো হয়। কিন্তু এতদিন পরেও আমরা তদন্তে কোনো অগ্রগতি দেখতে পেলাম না।
শিক্ষার্থীরা লিপু হত্যার তদন্তে ধীরগতি অভিযোগ এনে দ্রুত তদন্ত শেষ করে বিচারের দাবি জানান। এছাড়াও বক্তারা দ্রুত হত্যাকা-ের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
এদিকে লিপুর বাবা মো. বদর উদ্দীন মুঠোফোনে বলেন, ‘আমাদের স্বপ্নটা শেষ হয়ে গেছে। আমরা জানতে চাই কী কারণে আমার সন্তানকে খুন করা হয়েছে। কী এমন করেছিলো লিপু? কিন্তু এক মাস হয়ে গেল, মামলার অবস্থা কিছুই জানতে পারলাম না। আমরা খেটে খাওয়া মানুষ। অতকিছু বুঝি না। লিপুর খুনিদেন যেন বিচার হয়।’
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মতিহার থানার ওসি (তদন্ত) অশোক চৌহান বলেন, ‘তদন্তের বিষয়ে বলার মতো এখনও তেমন কিছু জানা যায়নি। লিপুর রুমমেট মনিরুল কিছু তথ্য দিয়েছে সেগুলো যাচাই-বাছাই করে আবার তার রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল। ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে তার শুনানি ছিল ১৫ নভেম্বর। কিন্তু রিমান্ড শুনানির আগেই গত ৮ নভেম্বর জজ কোর্ট থেকে সে জামিন পায়।’
গত ২০ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আব্দুল লতিফ হলের ড্রেন থেকে লিপুর লাশ উদ্ধার করা হয়। লিপুর চাচা মো. বশীর বাদী হয়ে নগরীর মতিহার থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় লিপুর রুমমেট মনিরুলকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। পরে মনিরুলকে চারদিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। রিমান্ডে মনিরুলের দেওয়া তথ্যে হত্যার রহস্য উদঘাটন সম্ভব বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিলো।