লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ লালপুরবাসী

আপডেট: আগস্ট ১২, ২০১৭, ১:০১ পূর্বাহ্ণ

নাটোর অফিস


অসহনীয় গরমে ঘনঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটে নাটোরের লালপুর উপজেলার কয়েক লক্ষাধিক মানুষের জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। বিদ্যুতের এ আসা-যাওয়াতে চরম বিপাকে পড়েছে স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এদিকে বিদ্যুতচালিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও যানবাহনের অবস্থাও নাজুক হয়ে পড়েছে। ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কারণে গ্রাহকদের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
বিদ্যুৎ গ্রাহকরা জানান, গত তিন সপ্তা ধরে প্রতিদিন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটানা দুই ঘণ্টাও বিদ্যুতের সেবা পাচ্ছেন না গ্রাহকরা। টানা ২-৩ ঘণ্টার ঘনঘন লোডশেডিংয়ে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ ও লালপুর সাব জোনাল অফিসের আওতায় কয়েক লক্ষাধিক গ্রাহককে অতিষ্ঠ করে তুলেছে। সকাল, দুপুর ও সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত লোডশেডিং থাকায় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলার ওয়ালিয়ার গ্রাহক ব্যবসায়ী রুহুল আমিন রুবেল, মজির উদ্দিন, ভাস্কর, শফিকুল, সোহল রানা অভিযোগ করে বলেন, অফিসের কতিপয় কর্মকর্তারা বিভিন্ন অজুহাতে অথবা যান্ত্রিক ত্রুটির খোড়া অজুহাত দেখিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোডশেডিং সৃষ্টি করে জনগণকে বিভ্রান্ত করছেন। তারা আরো বলেন, লালপুরে বিদ্যুৎ যায় না, মাঝে মাঝে আসে। ফলে সরকারের উন্নয়ন ও বিদ্যুৎ উৎপাদনের সফলতা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন নাটোরের লালপুরবাসী।
একাধিক গ্রাহক জানায়, গত তিন সপ্তা ধরে উপজেলার ওয়ালিয়া, ফুলবাড়ী, লালপুর, গোপালপুর এলাকায় ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে গ্রাহকরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। এছাড়াও আকাশে মেঘ দেখলে ও সামান্য বাতাস হলেই এসব উপজেলায় বিদ্যুতের লোডশেডিং শুরু হয়ে যায়। এদিকে বিদ্যুৎ বিভ্রান্তের ব্যাপারে মাইকিং করে গ্রাহকদের সচেতন করাও হচ্ছে না।
এ ব্যাপারে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর জেনারেল ম্যানেজার নিতাই কুমার ও জুনিয়ার ইঞ্জিনিয়ার আতাউর রহমান বলেন, নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর বনপাড়া সদর দফতরের আওতায় পিক আওয়ারের চাহিদা ছিলো ৬১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ, সেখানে সরবারহ ৩২ মেগাওয়াট, দিনের চাহিদা ছিলো ৩৭ মেগাওয়াট, সরবরাহ ছিলো ২৮ মেগাওয়াট। কাটাখালি, নাটোর ও ঈশ্বরদী মোট তিনটি গ্রিড সাবস্টেশন থেকে বিদ্যুৎ বনপাড়া ফিডারে পিক আওয়ারে ৩২ ও দিনে ২৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আসছে। তিনি বলেন, এই মুহূর্তে যান্ত্রিক ক্রটি কিংবা লাইনের কোন সমস্যা নেই। বিদ্যুতের ঘাটতি জাতীয় সমস্য। তবে বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়লে লোডশেডিং কমবে।

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ