লোডশেডিংয়ে ভোগান্তিতে জনজীবন

আপডেট: আগস্ট ৮, ২০১৭, ১:৪৬ পূর্বাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক


নগরীতে লোডশেডিংয়ে বিপাকে পড়েছেন মানুষ। দিন-রাতের মধ্যে যখন তখন লোডশেডিং থাকছে। বলা যায় চাহিদা মতো বিদ্যুৎ মিলছে রাজশাহীবাসীর। বেশ কয়েকদিন থেকে বিদ্যুতের সঙ্কটে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সঙ্গে গরমে হাসফাঁস করছে জনজীবন। কিন্তু একবার বিদ্যুৎ গেলে ঘন্টার আগে আর দেখা মিলছে না। রাজশাহীসহ আশেপাশের অঞ্চলে গত দুই সপ্তা থেকে এই অবস্থা বিরাজ করছে।
গতকাল সোমবার সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় মাঝে মাঝে লোডশেডিং দেখা দেয়। বিদ্যুৎ একবার লোডশেডিং হলে প্রায় আধা ঘন্টা থেকে এক ঘন্টার মত থাকছে। অন্যদিকে বিদ্যুৎ না থাকায় অধিকাংশ সময় বন্ধ রাখতে হচ্ছে রাজশাহীর কল-কারখানাসহ দোকান-পাট। বিশেষ করে ইলেক্ট্রোনিক্স নির্ভর দোকান-গুলো নিয়ে চরম বিপাকে পড়ছেন। যেন ঠিকমতো দোকান খুলে কাজ হচ্ছে না । এই অবস্থায় চরম বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়া বিদ্যুতের অভাবে থমকে যাচ্ছে স্কুল কলেজ, অফিস আদালত, ব্যাংক বীমা কোম্পানীগুলোর কার্যক্রম।
নগরীর কাজীহাটা এলাকার বাসিন্দা ও ল্যাবরেটরী স্কুলের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সাদিক আল সাবা জানান, সোমবার সকাল সাতটার পরপরই বিদ্যুৎ চলে যায়। এরপর বিদ্যুতের দেখা মেলে অনেকক্ষণ পরে। এভাবে চলতে থাকে দিন-রাত। আগেরদিন ও রাতেও কয়েক দফা বিদ্যুৎ ছিল না। সবমিলিয়ে পড়াশুনা করতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এছাড়া গরমে চরম কষ্টের মধ্যে দিন পার করতে হচ্ছে। বিশেষ করে রাতে ঘুমাবার সময় বিদ্যুৎ না থাকায় ভোগান্তিটা বেশি পোহাতে হচ্ছে।
লোডশেডিংয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-৪ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুর রশিদ বলেন, চাহিদা মোতাবেক বিদ্যুৎ না পাওয়া যাওয়ায় লোডশেডিং হচ্ছে। জাতীয় গ্রীড থেকেই বিদ্যুৎ কম পাওয়া যাচ্ছে। নগরীতে প্রায় ১০০ মেগাওয়াটের মতো বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে। তবে বিদ্যুতের চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় লোডশেডিং হচ্ছে।