শক্তিশালী টিসি স্পোর্টসের সামনে আত্মবিশ্বাসী মানাং মার্সিয়াংদি

আপডেট: ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৭, ১২:৫৭ পূর্বাহ্ণ

সোনার দেশ ডেস্ক



প্রথমবারের মতো দেশের বাইরে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে খেলতে আসা মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টস শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের পথচলা টেনে নিতে চায় ফাইনাল পর্যন্ত। জিততে চায় শিরোপা। মানাং মার্সিয়াংদিও প্রথম সেমি-ফাইনালকে দেখছে বাঁচা-মরার লড়াই হিসেবে; নিজেদের সেরাটা নিংড়ে দিয়ে শিরোপা নির্ধরণী মঞ্চে উঠতে আত্মবিশ্বাসী নেপালের দলটি।
চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে সোমবার সন্ধ্যায় সাড়ে ৬টায় মুখোমুখি হবে দুই দল। দুই জয় ও এক ড্রয়ে ৭ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ গ্রুপের সেরা হয়ে সেমি-ফাইনালে উঠেছে। একটি করে হার, জয় ও ড্রয়ে পাওয়া ৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘বি’ গ্রুপের রানার্সআপ হিসেবে সেরা চারের মঞ্চে মানাং মার্সিয়াংদি।
গ্রুপ পর্বের পারফরম্যান্সের হিসেবে এগিয়ে থাকলে নেপালের প্রতিপক্ষকে সমীহ করছেন টিসি স্পোর্টসের কোচ মোহাম্মদ নিজাম।
“নিঃসন্দেহে এটা সহজ ম্যাচ হবে না। কঠিনতম ম্যাচ হতে যাচ্ছে। গত তিন ম্যাচে আমরা যেভাবে মনোযোগ নিয়ে খেলেছি, এ ম্যাচেও সেভাবে খেলব। অবশ্যই মানাং মার্সিয়াংদি শক্তিশালী দল। তাদের হালকাভাবে নেওয়ার কোনো কারণ নেই। তবে আমাদের লক্ষ্য জেতা।”
গত এশিয়ান গেমসে মালদ্বীপকে হারিয়ে ফুটবলের সেরা হয়েছিল নেপাল। নিজাম অতীত নিয়ে ভাবছেন না। প্রথমবারের মতো দেশের বাইরে আন্তর্জাতিক কোনো টুর্নামেন্টে শিরোপা জয়ের ইতিহাস গড়তে প্রত্যয়ী তিনি।
“অতীত অতীতই। আমাদের সামনে এখন ইতিহাস গড়ার চ্যালেঞ্জ এবং আমরা সে চ্যালেঞ্জ জিততে প্রত্যয়ী। আমাদের এই দলে মালদ্বীপের হয়ে খেলা কয়েকজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে। আমরা (জিততে) যথেষ্ঠ আত্মবিশ্বাসী।” টিসি স্পোর্টসের ফরোয়ার্ড নাফিউ আলি অবশ্য ফাইনাল নিয়ে পরে ভাবতে চান, “আমাদের প্রথম লক্ষ্য আগামীকালের ম্যাচটি জেতা এবং এরপরই আমরা ফাইনাল নিয়ে ভাবতে চাই।”
মানাং মার্সিয়াংদি কোচ চিরিং লোপসাংও প্রতিপক্ষকে সমীহ করে জয়ের ছক কষছেন। প্রতিপক্ষ কোচের জয়ের ব্যাপারে বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠাকে ‘মাইন্ড গেম’ বলেও মনে করেন তিনি।
“খুবই কঠিন ম্যাচ হতে যাচ্ছে। আশা করি আমরা ভালো একটা লড়াই উপহার দিতে পারব এবং সবাই সেটা উপভোগ করবে।”
“সবচেয়ে বাজে দলটাও জয়ের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামে। হতে পারে (মালদ্বীপ কোচের বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠা) এটা মাইন্ড গেম। এ ম্যাচে দুই দলই ফেভারিট। তবে আমি মনে করি, যে দলটা গোলের সুযোগটা কাজে লাগাতে পারবে, তারাই জিতবে।”
নেপালের দলটির ফরোয়ার্ড অনিল গুরুংও কোচের সুরে সুর মিলিয়ে দিলেন উপভোগ্য লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি।
“কোচ এরই মধ্যে লক্ষ্যটা বলেছেন। আমাদের দলটাও খুব একটা খারাপ নয়। এটা আমাদের জন্য বাঁচা-মরার ম্যাচ। অবশ্যই আমরা নিজেদের সেরাটা দিয়ে লড়াই করব।” বিডিনিউজ