শহিদ বুদ্ধিজীবী হত্যা কিছু সরল বক্তব্য

আপডেট: ডিসেম্বর ১৩, ২০১৬, ১২:০৪ পূর্বাহ্ণ

সুজিত সরকার



মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধা নিয়ে নেতবৃন্দের লাগামহীন স্বার্থমগ্নতা এবং অপকর্মের এই আত্মবিধ্বংসী সময়ে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে আলোচনা সত্যি ভীষণ এক দুর্ভাবনার বিষয়। এই দুর্ভাবনা ও সংকট সৃষ্টির মূলে রয়েছে শাসক একই সঙ্গে শাসিতের স্বার্থমগ্নতা। বিজয় দিবসসহ জাতীয় দিবসে এ দেশে ঘরে ঘরে এবং নানা প্রতিষ্ঠানে ত্রিশ লক্ষ বাঙালির আত্মত্যাগ আর সাড়ে চার লক্ষ মা-বোনের সম্মান বিসর্জনের মধ্য দিয়ে অর্জিত পতাকা উত্তোলন দেখা যায় না। দেশটাকে কেউ মানে কেউ মানে না। এই দুই পক্ষে বিভাজিত আজকের বাংলাদেশ। এটা ক্রান্তিকাল। একাত্তরও একটি ক্রান্তিকাল ছিলো। কে জিতবে কে হারবে এই প্রশ্নে সুবিধাভোগী একটি মহলও ছিলো সুযোগের অপেক্ষায়। যারা জিতবে, তারা তাদের দলভুক্ত হবে। এদের সংখ্যা অপ্রতুল নয়। একাত্তরে জামাত-ছাত্রসংঘ আর মুসলিম লিগসহ সকল ধর্মভিত্তিক দলই ছিলো স্বাধীনতা বিরোধী। তারাই কে মুক্তিযোদ্ধা, কে আওয়ামী লিগ কিংবা হিন্দু আর শিক্ষিত তা চিনিয়ে দিতে ভুল করেনি জামাতসহ সকল পাকিস্তানপন্থি। দেশে নির্বিচারে যে ভাবে বুদ্ধিজীবীসহ স্বাধীনতাকাক্সক্ষী মানুষকে হত্যা-নির্যাতন করেছে। স্বাধীনতাত্তোর দেশে যারাই নেতৃত্বে অধিষ্ঠিত হয়েছে, তারা প্রায় সবাই নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু সে কারণেই খেদোক্তি করেছেন। দলের নেতা-কর্মীদের দুর্নীতি, দুষ্কর্ম থেকে বিরত থাকতে পরামর্শ দিয়েছেন। মানুষ অনেক অসহিষ্ণুতা প্রকাশ করেছে কোনো কোনো নেতা-কর্মীর আচরণে। শাস্তিও দিয়েছেন অনেককে। তিনি দেশটাকে, দেশের জনগণকে ভালোবাসতেন। সে চিন্তা ও কর্মে তিনি নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। শহিদদের প্রতি বিষেশ সহযোগিতারও আয়োজন করেন। কিন্তু আজকে সেটা যেনো নিছক আনুষ্ঠানিকতায় পর্যবেশিত হয়েছে। এমনটি প্রত্যাশিত নয়।
অনুষ্ঠানের খাতিরে আনুষ্ঠানিকতা করতে আমরা অভ্যস্থ হয়ে উঠেছি। নির্ভেজাল আনুষ্ঠানিকতাই যেনো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়। সে জন্যেও আমাদের নিত্য ওঠ্-বোস্ পীড়াদায়ক বলেই এতো না-বাচক কথা উচ্চারণ। দেশের স্বাধীনতার জন্যে বুদ্ধিজীবীদের আত্মোৎসর্গ সমগ্র জাতি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। শাসকেরা করে আনুষ্ঠানিকতার আদলে। না হলে তারা জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বেন আতঙ্কে এ সব দিন পালনে তারা উৎসাহ দেখান। বিএনপি-জামাতরে মতো বেশ কিছু দল তো দেশটাকেই মানে না। তাই তারা এ সব দিন পালন করে না বললেই চলে। বাংলাদেশ যে একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ সে কথাটাও তারা বিবেচনা করে না। মনে করে দেশটা পাকিস্তানের অংশ। অথবা পাকিস্তানে রূপান্তরের চেষ্টা তারা নানা অনুসঙ্গে করে থাকে।
একাত্তরে ২৬ মার্চ থেকে ঢাকায় নির্বিচারে মানুষ হত্যার মহোৎসব শুরু করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী। পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকে শাসকচক্রের ধর্ম রক্ষার মিথ্যে বুলির অন্তরালে বাঙালি জাতিকে শাসন-শোষণের ফাঁদ পাতে। ব্রিটিশ শাসকরা বিদায় নিলেও বাঙালিদের ওপর চেপে বসে আরেক দুঃশাসন। এই দুঃশাসনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে সচেতন ছিলেন বাঙালি বুদ্ধিজীবীরা। জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তান আন্দোলনে ততোটাই আন্তরিক ছিলেন যতোটা বাঙালির অধিকার নিশ্চিত হয়। কিন্তু তা হয়নি। বাংলা ১৯৪৭-এ বিভক্ত হয়। খ-িত বাংলার স্বপ্ন অধিকাংশ বাঙালিই দেখেনি। তারা বাংলা একটি স্বতন্ত্র সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার লড়াই করেছেন। সাতচল্লিশোত্তর পাকিস্তানের শাসকদের আচরণ এবং রাষ্ট্র পরিচালনার প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করে বঙ্গবন্ধু সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এক ছায়ার তলে এদের সঙ্গে বসবাস করা যায় না। ভাষা আন্দোলনের সময়ই তিনি সিদ্ধান্ত নেন, পূর্ব বাংলাকে পাকিস্তানি কালোনির শৃঙ্খলমুক্ত করতে হবে। সে লক্ষ্যেই ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের সূচনা। সংসদে অ্যাডভোকেট ধীরেনন্দ্রনাথ দত্ত জাতির ভাষার প্রশ্নে প্রথম প্রতিবাদ করে উর্দুর পাশাপাশি বাংলাভাষাকেও রাখার প্রস্তাব করেন। প্রস্তাবে তিনি যুক্তি দেখান, সমগ্র পাকিস্তানে সংখ্যাগরিষ্ঠতার দিক থেকে বাঙালি ৫৬ শতাংশ। অবশিষ্ট ৪৫ শতাংশের ভাষা অভিন্ন ছিলো না। সেখানে কেউ পাঞ্জাবি, কেউ সিন্ধি, কেউ বালুচ, কেউ বা ছিলো পস্তু ভাষার অধিবাসী। উর্দুভাষী ছিলো শতকরা ৭ ভাগ। সেই সংখ্যালঘিষ্ঠ ভাষাকে জাতীয় ভাষার মর্যাদা দিলে সংখ্যাগরিষ্ঠের ভাষার প্রতি অমর্যাদা করা হয়। সংখ্যাগরিষ্টের অধিকারকে উপেক্ষা করলে প্রতীয়মান হয় যে শাসকগোষ্ঠি অগণতান্ত্রিক। স্বৈরাচার। পাকিস্তানি শাসকেরা সে দৃষ্টান্ত রেখেছে। তাই তারা বার বার বাঙালির ন্যায্য দাবিকে উপেক্ষা করে নির্যাতনের পথ বেছে নেয়। শুরু করে সাম্প্রদায়িক উস্কানি। তাদের শাসন প্রক্রিয়াও হয় প্রশ্নবিদ্ধ। পাকিস্তানি শাসকেরা বাঙালি সংসদ সদস্যদের দাবি উপেক্ষা করে উর্দুকে জাতীয় ভাষা হিসেবে চাপিয়ে দেয়ার সমান্তরালে বাংলাদেশকে তাদের শিল্প-কারখানার কাঁচামাল জোগান দেয়ার ক্ষেত্রে পরিণত করার অভিসন্ধি করলে সমগ্র জাতি প্রতিবাদে ফেটে পড়ে। ছাত্র-জনতার মিলিত প্রতিবাদে পাকিস্তানি শাসকেরা নানা কৌশল করেও শেষ রক্ষা করতে পারেনি। বাংলা ভাষার গুরুত্বকে মেনে নিতে বাধ্য হয়। এই সব আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুসহ সদ্য প্রতিষ্ঠিত আওয়ামী লীগ অনুধারবন করতে পেরেছিলেন। বুদ্ধিজীবীরা সে আন্দোলনের মন্ত্রদাতার ভূমিকা পালন করেন। তাঁদের লেখালেখি, সাংস্কৃতিক কর্মকা-, শিক্ষা পাঠসূচিতে বাংলাভাষা ও বাঙালির গৌরবময় অর্জনকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি তোলেন। পাকিস্তানিরা বুদ্ধিজীবীদের তাদের প্রতিপক্ষ ভেবেছিলো। তাই একাত্তরে তাদের ওপর নেমে আসে নির্মম নির্যাতন এবং হত্যাযজ্ঞ।
শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে বাঙালি বঞ্চণার শিকার হয়। তারও সম্মিলিত প্রতিবাদ করে ছাত্র-জনতা। এই সবকিছু সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য ও উৎসাহ দিয়েছেন দেশপ্রেমিক বুদ্ধিজীবীরা। ফলে তাঁদের ওপর সবচেয়ে বেশি ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে শাসকচক্র। মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই তারা হত্যা করে দার্শনিক গোবিন্দচন্দ্র দেব, মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরী, জ্যোর্তিময় গুহ ঠাকুরতা, শিল্পী আলতাফ মাহ্মুদ, প্রফেসর হবিবুর রহমান, ডা. আব্দুল আলীম, মুনীর চৌধুরী, শহীদুল্লা কায়সার, আনোয়ার পাশা, ফজলে রাব্বি, কবি মেহেরুন্নেসা, সাংবাদিক সিরাজউদ্দিন মাহ্মুদ, এ কে এম শহীদুল্লাহ্ (শহিদ সাবের), সুখরঞ্জন সমাদ্দারসহ আরো অনেক বুদ্ধিজীবীকে। মুক্তিযুদ্ধের শেষ পর্বে হত্যা করে আরো অসংখ্য বুদ্ধিজীবীকে। পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানিরা এ দেশের ধর্মান্ধ দল জামাত-মুসলিম লিগের নেতাদের পরামর্শে অধিকাংশ বুদ্ধিজীবীকে ১৪ ডিসেম্বর আল্ বদরদের অপহরণে সহযোগিতা করে। জেনারেল রাও ফরমান আলী, গোলাম আযম, সদ্য প্রয়াত মতিউর রহমান নিজামী, আব্বাস আলী, মীর কাশেম প্রমুখ ঘাতক-দালাল এই তালিকা প্রস্তুতসহ বুদ্ধিজীবী হত্যার অন্যতম ব্যক্তি। এদের নির্দেশ ও পরামর্শে আল বদর সমস্যরা ছদ্মবেশে বুদ্ধিজীবীদের অপহরণ করে ঢাকার শারীরিক শিক্ষা কলেজে নিয়ে নৃশংস নির্যাতন  শেষে ঠা-া মাথায় খুন করে।
একটি জাতির সংকটে দিকনির্দেশনার গুরুদায়িত্ব পালন করে বুদ্ধিজীবীরা। তাঁরা অসীম জলরাশির বুকে ভাসমান জাহাজের নাবিকের ভূমিকা পালন করেন। বাঙালির সংকটে এই বুদ্ধিজীবীরাই দিকনির্দেশনার দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁরা শোষণ-দুঃশাসনের খ- খ- চিত্র সূত্রবদ্ধ করে বিপন্ন জাতিকে দান করেন আলোর নিশানা। তাঁদের লেখালেখি, সাংস্কৃতি ও সামাজিক কর্মে জাতিকে শৃঙ্খল ভাঙার উদীপ্ত করেছেন। এখনো তা অব্যাহত রয়েছে। জাতির যে কোনো সংকটে শিল্পী-সাহিত্যিক-শিক্ষক-আইনজীবী-সাংবাদিক প্রমুখ শ্রেণি-পেশার মানুষ রাজপথে অবস্থান গ্রহণ করেন। অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান এ দিনে খোলা থাকে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় ক্লাস ও পরীক্ষা হয় কিন্তু এই দিবস উপলক্ষে কোনো আনুষ্ঠানিকতা পালনে নির্দেশনা দেয়া হয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ে সকালে বা রাত বারোটা পর শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক দিয়ে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। আলোচনা সভার আয়োজন করলে সেখানে শিক্ষকদের উপস্থিতি এতোটাই করুণ ও হতাশাব্যঞ্জক যে তার খতিয়ান তুলে ধরলে বিবেকবান মাত্রই লজ্জা পাবেন। এবার দেশে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনো আয়োজন করা হয়নি। ক্লাস-পরীক্ষা হয়েছে। বুদ্ধিজীবীদের স্মরণেরও আয়োজন করা হয়নি। যাঁদের আত্মদানে বাংলাদেশ নামে একটি দেশ অর্জিত হয়েছে, তাঁদের স্মরণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ব্যতিত কোনো মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক এবং ¯œাতক ও ¯œাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তাদের ফুলের ডালা দিয়ে দায়িত্ব শেষ করেন। ফুলের ডালিও হয়তো দেয়া হতো না যদি না সেখানে ছবি তুলে জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এটা কোনো আদর্শ ও চেতনাময় কর্মসূচি নয়। নিছক আনুষ্ঠানিকতা। তাহলে দেশপ্রেমিক নাগরিক কী করে গড়ে উঠবে, সেটাই এখন চিন্তার বিষয়। তবে কী ‘সকলি গরলি ভেল’? হয়তো। ক্ষমতার শিখরে অবস্থান করছে এমন কিছু আমলা বা ক্ষমতাধর যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আস্থাশীল নয়। তারা অনেকেই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধ সেজে জনগণের দেয়া ট্যাক্সের আর্থিক সুবিধা নিচ্ছে। এখন তারা যদি দেশের হর্তাকর্তা হয়, তাহলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিপরীতে কাজ করবেই। সরকার তাদের দৌরাত্ম রুখতে সক্ষম নয়। কিংবা তাদের ওপর নির্ভরশীল বলেই এমন আত্মঘাতী ঘটনা নিঃশব্দে আমরা করে যাচ্ছি। এদের এখনই রুখতে হবে। নতুবা সবকিছু ব্যর্থ হবে। সরকারের নির্দিষ্ট লক্ষ্যে উপনীত হওয়ায়ও সম্ভব হবে না। জাতিকে এ ভাবে বিভ্রান্ত করে যুদ্ধাপরাধী ধর্মান্ধ মহলেরই শেষ বিজয় নিশ্চিত করবে। তাদের ভয়ে ধর্ম ও সংস্কৃতির বিপর্যয় হলেও তাদের কিছু যায় আসে না।
এশিয়াটিক সোসাইটি কর্তৃক প্রকাশিত ‘বাংলা পিডিয়া’য় পরিবেশিত তথ্যে জানা যায়, সারা দেশে একাত্তরের ১১১১ জন বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করে আল্-বদর বাহিনী। তারমধ্যে শিক্ষাবিদের সংখ্যা ৯৯১ জন। অন্যান্য পেশাজীবীদেরও সংখ্যাও ‘বাংলা পিডিয়া’ উল্লেখ করেছে।
আজকে দিন এসেছে জাতিকে উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে দেয়া। সে লক্ষ্যমাত্রায় যেতে হলে অবশ্যই দেশবাসীসহ নেতৃত্বকেও জনগণের সঙ্গে থাকতে হবে। নেতৃত্বের সঙ্গে একটা অচ্ছেদ্য যোগসূত্রও গড়ে তুলতে হবে। সেটা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দাবিদার সকল রাজনীতিক ও সামাজিক সাংস্কৃতিক দলকেই কেবল বক্তৃতা-বিবৃতির মাধ্যমে নয়, কাজের মধ্যে দিয়ে প্রমাণ করতে হবে। নতুবা শহিদ বুদ্ধিজীবী পালন শুধু আনুষ্ঠানিকতায় পূর্ণ হবে। আশা করি এবার ১৪ ডিসেম্বর তারা সেটা আরো ভালোভাবে উপলব্ধি করবেন। সেটা যদি হয়, তাহলে তাদের অগ্রিম অভিনন্দন জানাই। বুদ্ধিজীবীদের দিকনির্দেশনাগুলোও তারা বিচার-বিশ্লেষণ করে পালন করলে আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে দেশ একটি দেশপ্রেমিক নাগরিকের প্রজন্ম পাবে। দেশ তাহলে আরো সমৃদ্ধ হবে। দেশের সমৃদ্ধির জন্যে এতো কথার উচ্চারণ।