শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজের প্রতারণার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাজশাহীতে শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের অনিয়ম ও প্রতারণার সাথে জড়িত প্রতারকদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) বেলা ১২:৩০ টার দিকে সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট রাজশাহী প্রেসক্লাব চত্বরে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা।

এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, বিভিন্ন পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখে আমরা এই কলেজে ভর্তি হয়েছি। প্রকৃতপক্ষে এটি একটি ভূয়া প্রতিষ্ঠান। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন আছে এমন দাবি করে প্রতিষ্ঠানটি আমাদের ভর্তি করেছে কিন্তু পরে আমরা জানতে পারি যে, এটি বিএমডিসির অনুমোদনহীন কলেজ। ভর্তি হয়ে আমরা প্রতারিত হয়েছি, আমাদের জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। আমাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধীনস্ত অন্য বেসরকারি কলেজে অতিদ্রুত মাইগ্রেশনের ব্যবস্থা করা হোক। আমরা সরকারি হস্তক্ষেপ এবং সহযোগিতায় আমাদের মাইগ্রেশনের দাবি জানাচ্ছি।

মানববন্ধনে অভিভাবকরা অভিযোগ করে বলেন, আমরা অনেক কষ্ট করে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে আমাদের সন্তানদের এই মেডিকেল কলেজে ভর্তি করেছিলাম। প্রতি বছর কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা নিয়েছে, এখন আমাদের সাথে প্রতারণা করছে। সন্তানদের জীবন বাঁচাতে সরকারের কাছে অতিদ্রুত এসব অনিয়মের সমাধান চাই।

শিক্ষার্থীদের দাবির প্রতি সংহতি প্রকাশ করে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, রাজশাহী প্রেসক্লাব সভাপতি সাইদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আসলাম উদ দৌলা, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির রাজশাহী জেলার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান আলী বরজাহান, জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন মিন্টু, শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী মহুয়া খাতুন, ইশতিয়াকুল হাসান, মোহাম্মদ মেহেদী হাসান মুন্না, নাফিস হাসান, অভিভাবক অ্যাডভোকেট এস এম সোহেল ও মোবারক হোসেন।

বক্তারা রাজশাহী শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজ প্রতিপক্ষের অনিয়ম এবং দুর্নীতির উচ্চপর্যায়ে তদন্ত দাবি করে ৩৯ জন শিক্ষার্থীর শিক্ষা জীবন নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জরুরী পদক্ষেপ দাবি করেন এ ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, রাজশাহী সিটি মেয়র ও রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার এবং রাজশাহী জেলা প্রশাসকের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়।

মানববন্ধন থেকে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেয়া হয়