রবিবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, ২৫ কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ ।
নিজস্ব প্রতিবেদক:রাজশাহীতে প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া তিন পুলিশ সদস্যের পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হয়েছে। সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) এই রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নুরুন্নবী হোসেন।
রিমান্ড আবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (ডিবি) রুহুল আমিন সরকার বলেন, আসামিদের প্রত্যেকের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার রিমান্ড আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে গত শনিবার নগরীর রাজপাড়া থানায় কারিমা খাতুন নামে এক ভুক্তভোগী চাকরিপ্রত্যাশী পরীক্ষার্থীর দায়ের করা প্রতারণা মামলায় পুলিশের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।
গ্রেফতাররা হলেন রংপুরের পীরগাছা উপজেলার অনন্তরাম গ্রামের এএসআই গোলাম রাব্বানী, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার জাদুপুর গ্রামের পুলিশ কনস্টেবল আবদুর রহমান ও রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার হাজরাপাড়া গ্রামের পুলিশ কনস্টেবল শাহরিয়ার পারভেজ শিমুল। এর মধ্যে আবদুর রহমান ও শাহরিয়ার পারভেজ শিমুল রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) সদর দফতরে কর্মরত এবং এএসআই গোলাম রাব্বানী দিনাজপুরের পার্বতীপুর থানায় কর্মরত ছিলেন।
মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষার আগে গ্রেফতার হওয়া পুলিশের এই সদস্যরা ভুক্তভোগী চাকরিপ্রার্থীকে পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেওয়ার চুক্তি করেন। এ জন্য পরীক্ষার্থীদের প্রত্যেককে খুবই ছোট আকারের হেডফোন ও ইলেকট্রনিকস যন্ত্রপাতি সরবরাহের কথা ছিল। এই ইলেকট্রনিকস ডিভাইসের মাধ্যমে বাইরে থেকে পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নের সব উত্তর বলে দেওয়া হবে বলে চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়। এ জন্য ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে নগদ তিন লাখ টাকাও নেওয়া হয়। চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে মোট ১৪ লাখ টাকার চুক্তি করা হয়েছিল। ভুক্তভোগীর কাছ থেকে নেওয়া হয়েছিল চেক ও স্ট্যাম্প।
কারিমা খাতুনের অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার আসামি শাহরিয়ার পারভেজের ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে ডিবি পুলিশ ইলেকট্রনিকস ডিভাইস সংযুক্ত ১৬টি গেঞ্জি, ১৩টি চুম্বক দণ্ড, ক্ষুদ্র গোলাকৃত্রির চুম্বকযুক্ত ২৬টি ইলেকট্রনিকস ডিভাইস, ১৫টি মোবাইল ফোনের চার্জার, ২টি স্ট্যাম্প, ২টি চেক, টাকা পাঠানোর দুটি রসিদ এবং নগদ আট হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।